বিন্দুমাত্র বিচলিত হইনি: শামসুজ্জামান শামস

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জামিনে কারামুক্তির পর প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামস বলেছেন, তিনি বিন্দুমাত্র বিচলিত হননি। সত্য প্রকাশের যে ধারা তা সামনেও বজায় থাকবে।
জামিনে কারাগার থেকে মুক্ত হওয়ার পর প্রথম আলো কার্যালয়ে সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামস। ছবি: সংগৃহীত

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জামিনে কারামুক্তির পর প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামস বলেছেন, তিনি বিন্দুমাত্র বিচলিত হননি। সত্য প্রকাশের যে ধারা তা সামনেও বজায় থাকবে।

আজ সোমবার সন্ধ্যায় কেরানীগঞ্জের কারাগার থেকে মুক্ত হওয়ার পর নিজের কর্মস্থল প্রথম আলোতে ফেরার পর একথা বলেন তিনি।

প্রথম আলো কার্যালয়ে সহকর্মীরা তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে স্বাগত জানান।

শামসুজ্জামান বলেন, 'আমি বিন্দুমাত্র বিচলিত হইনি। তবে দুটো জায়গায় খারাপ লেগেছে। একটা মায়ের কান্নার ছবি দেখে, অন্যটি মতি ভাইকে আদালতে দেখে। তার তো অনেক বয়স হয়েছে।'

সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে শামসুজ্জামান বলেন, সত্য প্রকাশের যে ধারা, তা সামনেও বজায় থাকবে।

সিআইডি, পুলিশ, জেল সব জায়গাতে ইতিবাচক মনোভাব পেয়েছেন জানিয়ে শামসুজ্জামান বলেন, 'এটা প্রথম আলোরই অবদান। প্রথম আলো পরিবারের সন্তান হিসেবে, ছোট ভাই হিসেবে থাকতে পারি এবং সঠিকভাবে সাংবাদিকতা করে সামনে এগিয়ে যেতে পারি।'

তিনি আরও জানান, বেশ কয়েকটি চাকরিতে তিনি ঢুকেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি প্রথম আলোতেই এসেছেন কারণ এটা তার কাছে একটা পরিবার।

এসময় প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান বলেন, 'আজকের এই সময়টা খুবই আনন্দঘন। সামনে আরও পরীক্ষা আছে। সে পরীক্ষায় শামস পাস করেছে। শামসের অনেক গুণমুগ্ধ বন্ধু–বান্ধব, শুভাকাঙ্ক্ষী আছেন। সবাই শামসের সঙ্গে ছিল। দেশের ভেতরে, বাইরে বড় সমর্থন ছিল।

প্রথম আলো সম্পাদক বলেন, মায়ের কাছে শামস ফিরে যাবেন এটাই সবচেয়ে বড় পুরস্কার। তার মা ধৈর্য্য, সাহস, শক্তি জুগিয়েছেন।

শামসকে শুভেচ্ছা জানাতে প্রথম আলো কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম।

তিনি বলেন, 'আমরা মূল্যবোধ সম্পন্ন সাংবাদিকতায় বিশ্বাস করি। স্বাধীন ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতায় বিশ্বাস করি। আমরা কারও পক্ষে না, বিপক্ষেও না, আমরা দেশের পক্ষে। সেই সাংবাদিকতা করতে গিয়ে শামসের বিপদ নেমে এসেছে।'

এসময় প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আনিসুল হক বলেন, 'শামস লিখে যাবে। মানুষের কথা, মানুষের ক্ষুধার কথা বলতে পারাই স্বাধীনতা।'

প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক সুমনা শারমিন বলেন, শামস সবার মাঝে ফিরে এসেছে এবং তাকে তার মায়ের ফিরিয়ে দিতে পারাই এখন আমাদের দায়িত্ব।

প্রথম আলোর কাছে পাঠকের প্রত্যাশা আরও বেড়ে গেছে বলে জানান পত্রিকাটির উপসম্পাদক লাজ্জাত এনাব মহছি।

পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ২০২১ সালে প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি রোজিনা ইসলাম কারাগারে গিয়েছিলেন। শামসকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, 'মতি ভাই, শামস আমাদের মাঝে আছে। এটা আমাদের ঈদের আনন্দ।' 

প্রথম আলোর বিভিন্ন বিভাগের কর্মীরা আজ শামসুজ্জামানকে শুভেচ্ছা জানান।

Comments