বঙ্গবাজার

রাস্তায় অস্থায়ী দোকান বসিয়ে কাপড় বিক্রি করছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা

শনিবার সকাল থেকে পুড়ে যাওয়া মার্কেটের কাছে রাস্তার দুই পাশে অন্তত ৫০টি অস্থায়ী দোকান বসিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা।
বঙ্গবাজার
রাস্তায় অস্থায়ী দোকানে কাপড় বিক্রি করছেন বঙ্গবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকেরা। ছবিটি শনিবার তোলা। ছবি: সাজ্জাদ হোসেন/ স্টার

ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সের ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকরা রাস্তায় অস্থায়ী দোকান বসিয়ে কাপড় বিক্রি করছেন।

শনিবার সকাল থেকে পুড়ে যাওয়া মার্কেটের কাছে রাস্তার দুই পাশে অন্তত ৫০টি অস্থায়ী দোকান বসিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা।

এদিকে সড়কে দোকান বসানোর কারণে তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে।

বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সের মাশাল্লাহ এন্টারপ্রাইজের দোকানি রাকিব হোসেন জানান, রাস্তায় অস্থায়ী দোকান দিয়েছেন তিনি। দুপুর একটা পর্যন্ত ২ হাজার টাকার জিন্সের প্যান্ট বিক্রি করতে পেরেছেন।  

তিনি বলেন, 'ঈদের আগে এত বড় ক্ষতি আমরা কল্পনাও করিনি। ওই দোকানে ১৫ লাখ টাকার কাপড় ছিল। সব পুড়ে গেছে।'

তৌহিদুল ইসলাম নামে আরেক দোকানদার বলেন, আগুন থেকে যে সব কাপড় উদ্ধার করতে পেরেছি, তা এখন অস্থায়ী দোকানে বিক্রি করছি।

তিনি বলেন, 'ঈদের মৌসুমে প্রতিদিন ২০-২৫ হাজার টাকার জিন্সের কাপড় বিক্রি করতাম। কিন্তু এখন খুব কম ক্রেতা আসছেন।

এদিকে রাজধানীর বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের পাঁচ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও ধোঁয়া উঠতে দেখা গেছে। পোড়া কাপড়ের গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে বাজার সংলগ্ন আশেপাশের এলাকায়। দোকান থেকে মালামাল সরানোর কাজও চলছে।

শনিবার সকাল থেকে ব্যবসায়ীরা অ্যানেক্সকো টাওয়ারের সামনে ঢাকা জেলা প্রশাসনের সহায়তা তথ্য কেন্দ্রে এসে নিজ নিজ দোকানের তথ্য দেন।

সকাল থেকেই ছিল দীর্ঘ লাইন। ব্যবসায়ীরা তাদের দোকানের নাম, জেলা প্রশাসনের ইস্যুকৃত ফরম, জাতীয় পরিচয়পত্র, ট্রেড লাইসেন্স এবং দোকানের নাম বা দোকানের ভিজিটিং কার্ড নিয়ে এসেছেন। যাদের দোকানের ট্রেড লাইসেন্স পুড়ে গেছে, তারা ভোটার আইডি ও ভিজিটিং কার্ড নিয়ে আসেন।

Comments