প্রথম প্রান্তিকে ফোরজি স্মার্টফোনের উৎপাদন কমেছে ৬১%

 বিটিআরসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর ৫০ শতাংশেরও বেশি স্মার্টফোন ব্যবহার করে। ছবি: স্টার ফাইল ফটো
বিটিআরসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর ৫০ শতাংশেরও বেশি স্মার্টফোন ব্যবহার করে। ছবি: স্টার ফাইল ফটো

চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে ফোরজি স্মার্টফোনের উৎপাদন এর আগের বছরের তুলনায় ৬১ শতাংশ কমেছে। ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নের কারণে কাঁচামালের আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ার প্রভাব পড়েছে স্মার্টফোনের বাজারেও।

ডলারের ঘাটতির কারণে এলসি খোলা কঠিন হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে অনেক স্মার্টফোনপ্রেমীদের ক্রয়ক্ষমতাও কমে গেছে।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে মার্চ—এই ৩ মাসে দেশীয় নির্মাতারা ১৪ লাখ ২৩ হাজার ফোরজি স্মার্টফোন তৈরি করেছেন।

এক বছর আগে একই সময়ে প্রায় ৩৬ লাখ ৩৯ হাজার স্মার্টফোন তৈরি হয়েছিল।

কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের সর্বশেষ বাজার নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে এর আগের ৭ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের স্মার্টফোন বাজারের সংকোচন দশের অংক ছাড়িয়েছে।

ইতোমধ্যে ফিচার ফোনের বাজার কিছুটা বেড়েছে।

আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালে বাংলাদেশে স্মার্টফোনের রপ্তানি আগের বছরের তুলনায় ২৩ শতাংশ কমেছে।

এই খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা উৎপাদকদের জন্য সতর্কবাণী দিয়েছেন। তাদের মতে, খুব শিগগির দূর হচ্ছে না এই মন্দাবস্থা।

এ বছরের জানুয়ারিতে প্রায় ৩ লাখ ৯১ হাজার এবং ফেব্রুয়ারিতে ৪ লাখ ৬২ হাজার ফোরজি হ্যান্ডসেট তৈরি করা হয়েছে। মার্চে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৭০ হাজারে।

মূলত উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং ডলারের দাম নজিরবিহীন হারে বেড়ে যাওয়ায় এই খাতটি ক্ষতির শিকার হয়েছে।

এছাড়াও, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) প্রতিটি হ্যান্ডসেট বিক্রির ওপর ৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর আরোপ করেছে, যা উৎপাদনকারী এবং ভোক্তাদের দুর্দশাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

বেশিরভাগ নিত্যপণ্যের দাম আকাশচুম্বী হওয়ায় ভোক্তারাও খরচের ক্ষেত্রে সাবধানী হয়েছেন।

২০১৭-১৮ অর্থবছরে সরকার হ্যান্ডসেট উৎপাদনকারীদের জন্য বড় আকারে কর রেয়াত সুবিধা দেওয়ায় সম্প্রতি বছরগুলোতে বাংলাদেশ স্থানীয় পর্যায়ে হ্যান্ডসেট উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।

এ পর্যন্ত মোট ১৫টি হ্যান্ডসেট উৎপাদন কারখানা স্থাপন করা হয়েছে। যার ফলে প্রায় ১৭ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। আরও ৪টি কারখানা চালুর অপেক্ষায় রয়েছে।

কিন্তু এখন কারখানাগুলো স্থানীয় বাজারে বিক্রি কমে যাওয়ার চাপ সামলাতে ব্যস্ত। 

বিশেষজ্ঞদের মতে, উন্নয়নশীল দেশে দ্রুতগতির ফোরজি প্রযুক্তি নির্ভর ইন্টারনেটের বিস্তারে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সামাজিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারে।

অনুবাদ করেছেন মোহাম্মদ ইশতিয়াক খান

(সংক্ষেপিত। মূল প্রতিবেদন পড়তে ক্লিক করুন 4G smartphone production down 61% in Q1)

Comments

The Daily Star  | English

India curbs import of Bangladeshi jute, woven fabrics, yarn

However, the products will be allowed to be imported only through Nhava Sheva seaport in Maharashtra

2h ago