চট্টগ্রাম

৩ মাসেও কালভার্টের নির্মাণকাজ শেষ না হওয়ায় ভোগান্তি

ছবি: স্টার

বন্দরনগরী চট্টগ্রামের মুরাদপুরে খালের ওপর কালভার্ট নির্মাণের কাজ শেষ না হওয়ায় ২ মাসের বেশি সময় ধরে দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষ।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ১৭ জানুয়ারি থেকে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) নগরীর ব্যস্ত মুরাদপুর মোড়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।

বন্দরনগরীতে জলাবদ্ধতা নিরসনে সিডিএর মেগা প্রকল্পের আওতায় পুরোনো কালভার্টের জায়গায় নতুন কালভার্ট বসানো হচ্ছে।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, আগামী জুলাইয়ের আগে ওই চৌরাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচলের সুযোগ নেই।

নির্মাণকাজ শেষ না হওয়ায় ভোগান্তিতে মানুষ। ছবি: স্টার

সড়কের মাঝখানে নির্মাণকাজ চলমান থাকায় মুরাদপুর থেকে বিবিরহাট, হামজারবাগ, রউফাবাদ, আতুরার ডিপো ও অক্সিজেন এলাকায় যানবাহনকে বিকল্প পথ ধরতে হয়। এতে অতিরিক্ত সময় ও জ্বালানি ব্যয় হচ্ছে।

সম্প্রতি মুরাদপুর মোড়ে গিয়ে দেখা গেছে— শ্রমিকরা কালভার্টের ভিত তৈরির কাজ করছেন। যদিও কর্তৃপক্ষ নির্মাণস্থলের কাছাকাছি খালের ওপর অস্থায়ী পদচারী সেতু তৈরি করেছে যাতে পথচারীরা খালের অংশটুকু হেঁটে হতে পারেন। নারী, শিশু ও বয়স্কসহ অনেকের তা পার হতে বেশ হিমশিম খেতে হচ্ছে।

এ সড়ক দিয়ে হাসপাতালে যেতে রোগী ও অন্তঃসত্ত্বাদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

বিবিরহাটের বাসিন্দা আব্দুল হামিদ বলেন, প্রকল্পের কাজ শুরুর সময় কর্মকর্তারা বলেছিলেন খুব শিগগিরই তা শেষ হবে।

তিনি বলেন, 'আমরা জানি না কাজ শেষ হতে কত সময় লাগবে। মনে হচ্ছে কাজ এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে।'

হামজারবাগের বাসিন্দা পারভিন সুলতানা তার অসুস্থ মাকে মুরাদপুর দিয়ে রিকশায় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাচ্ছিলেন। খাল পার হতে তাদের অসুবিধায় পড়তে হয়েছে।

ডেইলি স্টারকে পারভিন বলেন, 'নির্মাণকাজ যত তাড়াতাড়ি শেষ হবে, মানুষের ততই মঙ্গল।'

সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী হাসান বিন শামস ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যেহেতু মেগা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে এবং কালভার্ট নির্মাণকাজটি তারই অংশ। কাজটি কবে শেষ হবে সে বিষয়ে কিছু জানি না।'

মেগা প্রকল্পের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহ আলী ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কালভার্টের ভিত্তির কাজ প্রায় শেষ। আশা করি, আগামী মে মাসের প্রথম সপ্তাহে নির্মাণকাজ শেষ হবে।'

তিনি আরও বলেন, 'নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গেই যানবাহন চলাচলের জন্য কালভার্টটি খুলে দেওয়া যাবে না। কারণ কিউরিং পিরিয়ডের জন্য কমপক্ষে ২৮ দিন এবং ইউটিলিটি লাইনগুলো সেট করার জন্য আরও ৬০ দিন প্রয়োজন হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Expatriates' remittance helps Bangladesh make turnaround: Yunus

It is the expatriates who help sustain the country, says the chief adviser

4h ago