৩ বছরে কেউ ব্যবহার করতে পারেনি সেতুটি

মৌলভীবাজার, কুলাউড়া, হাকালুকি হাওর, সেতু,
খালের মাঝখানে নির্মিত সেতুটির ২ পাশে কোনো সংযোগ সড়ক নেই। ছবি: মিন্টু দেশোয়ারা

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কায়েরচক এলাকায় হাকালুকি হাওরে ৩ বছর আগে নির্মাণ করা হয় কংক্রিটের একটি সেতু। তবে, সংযোগ সড়ক না থাকায় তা ব্যবহার করতে পারছেন না স্থানীয়রা।

সরেজমিনে দেখা যায়, খালের মাঝখানে নির্মিত সেতুটির ২ পাশে কোনো সংযোগ সড়ক নেই। খালে পানি নেই। খালের নিচ দিয়ে মানুষ পারাপার হচ্ছেন।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য খসরুজ্জামান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এখানে একটি সেতু দরকার ছিল। কিন্তু এত উঁচু সেতুর প্রয়োজন নেই। সেতুটি প্রায় ১৫ থেকে ১৬ ফুট উঁচু। এটি সম্পূর্ণ অপরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে। এ কারণে সেতু থেকে কেউ কোনো সুবিধা পাচ্ছেন না।'

তিনি আরও বলেন, 'সংযোগ সড়ক না থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন ৭টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। সম্পূর্ণ অপরিকল্পিত এই সেতুটি একদিনের জন্য কেউ ব্যবহার করেননি।'

মৌলভীবাজার, কুলাউড়া, হাকালুকি হাওর, সেতু,
সেতু থেকে কোনো সুবিধা পাচ্ছেন না স্থানীয়রা। ছবি: মিন্টু দেশোয়ারা

মদনগৌরী গ্রামের শামসুল ইসলাম জানান, স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল এলাকায় একটি সেতু নির্মাণ। অবশেষে সেতুটি নির্মিত হলো। তবে ২ পাশে কোনো রাস্তা নেই। ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে সেতুটি পড়ে আছে। স্থানীয় মানুষের কোনো কাজে আসছে না।

সাতিরুল ইসলাম বলেন, হাওর এলাকার ৯০ শতাংশের বেশি মানুষ কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত এবং তাদের কৃষিপণ্য বিক্রির জন্য আশেপাশের এলাকায় নিয়ে যেতে হয়। কিন্তু, রাস্তার বেহাল দশায় তারা সমস্যায় পড়েছেন।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ৩ বছর আগে সেতুটি নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এতে খরচ হয় ৩০ লাখ টাকা।

ভূকশিমইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান মনির বলেন, 'সেতুর ২ পাশে এ বছরও মাটি দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, আগামী বছর সড়কটি হাঁটার জন্য প্রস্তুত হবে।'

উপজেলা পিআইও শিমুল আলী জানান, 'সেতুর ২ পাশে সংযোগ সড়কে মাটি ফেলা হলেও তা বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

 

Comments