ইউএনও’র ওপর হামলার ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ গ্রেপ্তার ৪

ফরিদপুরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের জায়গার মালিকানার বিরোধ নিয়ে  ইউএনও’র ওপর হামলার ঘটনায়  ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

ফরিদপুরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের জায়গার মালিকানার বিরোধ নিয়ে ইউএনও'র ওপর হামলার ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে ও আজ শুক্রবার সকালে মধুখালী থানায় ২টি মামলা হয়েছে। ২ মামলায় এক নম্বর আসামি করা হয়েছে ডুমাইন ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান ও মধুখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ আসাদুজ্জামানকে।

মধুখালী থানা সূত্রে জানা গেছে, একটি মামলার বাদী ইউএনও আশিকুর রহমান চৌধুরীর গাড়িচালক সুমন শেখ। অপর মামলার বাদী মধুখালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) প্রবীর কুমার বিশ্বাস। ২ মামলায় ২৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামি দেখানো হয়েছে আরও ২০০-২৫০ জনকে।

গাড়িচালক সুমন শেখের দায়ের করা মামলায় সরকারি কাজে বাধা, ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাত করে জখম, সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর ও চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে। এসআই প্রবীর কুমার বিশ্বাসের দায়ের করা মামলায় পুলিশের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুল ইসলাম বলেন, 'গ্রামবাসীদের হামলায় ৪ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তারা হলেন এসআই প্রবীর কুমার বিশ্বাস ও কনস্টেবল মো. আলী হোসেন, মাহমুদ খান ও আবু হানিফ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ বুলেট ছোড়ে।'

ওসি আরও বলেন, 'এ মামলায় এজাহারভুক্ত ৪ আসামি ডুমাইন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ আসাদুজ্জামান, তার সহযোগী কবিরুন বিশ্বাস, নিশ্চিন্তপুর গ্রামের বাসিন্দা ইব্রাহিম মৃধা ও মো. প্রিন্স মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ৪ আসামিকে শুক্রবার আদালতে সোপর্দ করা হবে।'

গ্রেপ্তার ৪ জনের মধ্যে ২ জনকে গতকাল ঘটনাস্থল থেকে এবং ২ জনকে আজ সকাল সাড়ে ১১টার দিকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান ওসি।

আজ শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে মধুখালী রেলগেট এলাকায় ইউএনও'র ওপর হামলার প্রতিবাদ ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। 'বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি মধুখালী উপজেলা শাখা' ও 'উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা পরিবারের' উদ্যোগে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

এর আগে, বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে নিশ্চিন্তপুর গ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজ শুরু নিয়ে প্রতিবাদ শুরু করেন স্থানীয়রা। তারা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। তখন ইউএনও ঘটনাস্থলে গেলে তার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যদের সঙ্গে মানববন্ধনের ব্যানার নিয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে এক নারী আহত হন। পরে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে হামলা করলে ইউএনও, চালক, দেহরক্ষী, কাজের ঠিকাদার, ৪ নারী, ৪ পুলিশ সদস্যসহ মোট ১৫ জন আহত হন।

Comments