হত্যা মামলার আসামি নলডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদ সাময়িক বরখাস্ত

‘সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল কানাডা থেকে গতকাল ফিরেই মন্ত্রণালয়ে গিয়ে আমার বিরুদ্ধে এই আদেশ করিয়েছেন। আমি হাইকোর্টে যাবো। এই আদেশের বিরুদ্ধে রিট করবো। আদালতে অবশ্যই ন্যায়বিচার পাবো।’
আসাদুজ্জামান আসাদ। ছবি: সংগৃহীত

নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

আজ বুধবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম মজুমদারের সই করা এক চিঠি থেকে এ তথ্য জানা যায়।

উপজেলা পরিষদ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য ১ নং প্যানেল মেয়র শিরিনা আক্তারকে আর্থিক ক্ষমতা দেওয়ার জন্য নাটোরের জেলা প্রশাসককে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম মজুমদার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা চলমান থাকায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে পরিষদের ১ নং প্যানেল মেয়রকে আর্থিক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।'

সাময়িক বরখাস্ত উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, 'মন্ত্রণালয়ের সাময়িক বরখাস্তের বিষয়ে মৌখিকভাবে শুনেছি। এখনো আদেশের কপি অফিসিয়ালি পাইনি।'

তিনি অভিযোগ করেন, 'সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল কানাডা থেকে গতকাল ফিরেই মন্ত্রণালয়ে গিয়ে আমার বিরুদ্ধে এই আদেশ করিয়েছেন। আমি হাইকোর্টে যাবো। এই আদেশের বিরুদ্ধে রিট করবো। আদালতে অবশ্যই ন্যায়বিচার পাবো।'

এ বিষয়ে ইতোমধ্যে আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেছেন বলেও জানান আসাদ।

আসাদের অভিযোগের বিষয়ে সংসদ সদস্য শিমুল বলেন, 'কেউ যদি অন্যায় করে, তাহলে তাকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে। যত বড় ক্ষমতাবানই হোক, আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়।'

'আসাদ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত। তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। এর পরিপ্রেক্ষিতেই মন্ত্রণালয় তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিয়েছে,' যোগ করেন তিনি।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে নলডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদের বিরুদ্ধে মসজিদের মাইক চুরির সালিশে পক্ষপাতিত্ব এবং দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ফেসবুকে লাইভ করেন ছাত্রলীগ নেতা জামিউল ইসলাম জীবন। এরপরই জীবন ও তার বাবা ফরহাদ হোসেনকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ ওঠে আসাদ, তার ২ ভাই ও অজ্ঞাত পরিচয়ের আরও ৪-৫ জনের বিরুদ্ধে।

হামলার ঘটনায় ওই রাতেই জীবনের মা জাহানারা বেগম বাদী হয়ে মামলা করেন।

পরবর্তীতে ২৩ অক্টোবর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জীবন মারা যান।

 

Comments