‘যারা ইতিহাস-ঐতিহ্যের ছবি ও বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙে, তারা দেশটাই ভেঙে দেবে’

ছবি: সংগৃহীত

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, যাদের হাতে বাংলাদেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য নিরাপদ নয়, তাদের হাতে কখনো দেশ নিরাপদ হতে পারে না।

আজ রোববার সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জামালখান মোড়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও ইতিহাস-ঐতিহ্যের ছবি ভাঙচুরের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, 'চট্টগ্রামের জামালখানে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও মুক্তি আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়াদের ছবি ভাঙচুরের ঘটনায় ইতোমধ্যে মামলা হয়েছে। ঘটনায় যারা জড়িত ছিল মামলার প্রেক্ষিতে তাদের বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।'

'তবে যারা তাদের নেতা, যারা তরুণদেরকে এ ধরনের নৈরাজ্য শিক্ষা দিচ্ছে এবং এগুলোর নেতৃত্ব দিচ্ছে তারা দায় এড়াতে পারে না। তাদেরকেও অবশ্যই আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন', যোগ করেন তিনি।  

এ সময় আওয়ামী লীগের উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন ও জামালখান ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন উপস্থিত ছিলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, 'যারা বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করে, আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্যের ছবি ভাঙে, এখানে থাকা আমাদের মুক্তি আন্দোলনের পুরোধাদের ছবির প্রতি অবমাননা করে, সর্বোপরি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অবমাননা করে ছবি ও ম্যুরাল ভাঙে, তারা তো দেশটাই ভেঙে দেবে। তাদের হাতে তো কখনো দেশ নিরাপদ হতে পারে না। এরাই আবার দেশ পরিচালনার স্বপ্ন দেখে।'

তিনি আরও বলেন, 'বিএনপি তারুণ্যের সমাবেশের কথা বলে এদিক দিয়ে যাওয়ার সময় বঙ্গবন্ধুর সমস্ত ছবিগুলো এবং বঙ্গবন্ধুর ম্যু্রালসহ মুক্তি আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া অন্যান্যদের ছবিও ভাঙচুর করেছে। এই দায় দলটির নেতারা কোনোভাবেই এড়াতে পারে না।' 

বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও ইতিহাস-ঐতিহ্যের চিত্র ভেঙে দেওয়ার পেছনে জামায়াত-শিবিরেরও সম্পৃক্ততা আছে কি না এমন প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'জামায়াত তো ওদের সহোদর ভাই, ওরাই তো বলে একই বৃন্তে দুটি ফুল, বিএনপি আর জামায়াত। এটা ওদের বক্তব্য। এই তারুণ্যের সমাবেশেও ছদ্মবরণে জামাত শিবিরও ছিল। তবে মূল দায়টা বিএনপি নেতাদের।' 

ভেঙে দেওয়া বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালসহ ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্বলিত ছবিগুলো আবার তৈরি করা হবে কি না জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'জামালখান ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন আমাকে জানিয়েছেন, তারা এগুলো আবার নতুনভাবে আগের মত দৃষ্টিনন্দন করে তৈরি করবেন। প্রয়োজনে আরও সুন্দর করে এগুলো পুনস্থাপন করা হবে।'

Comments

The Daily Star  | English
chief adviser yunus confirms election date

Election in February

Chief Adviser Prof Muhammad Yunus last night announced that the general election will be held before Ramadan in February 2026, kickstarting the process of handing over the power to an elected government.

6h ago