‘দ্রুত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে’

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আজ সোমবার জাতীয় সংসদে বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার যাতে না হয় সেজন্য সরকার কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। স্টার ফাইল ছবি

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আজ সোমবার জাতীয় সংসদে বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার যাতে না হয় সেজন্য সরকার কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

তিনি বলেন, 'জাাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে একটি ''টেকনিক্যাল নোট'' দিয়েছে। সেটিরও পর্যালোচনাও প্রায় শেষ। দ্রুতই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'

আজ সোমবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সিলেট-৩ আসনের হাবিবুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক এ কথা বলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, 'মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রোধ বা গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়নি। সাইবার অপরাধ দমনের জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি করা হয়েছে।'

স্পিকার ড.  শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর টেবিলে প্রশ্নটি উপস্থাপিত হয়।

মামুনুর রশীদ কিরণের প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, 'নিরস্ত্র, নিরীহ মানুষকে হত্যাকারী জঙ্গিদের বিচারাধীন মামলা দ্রুত বিচার ও নিষ্পত্তির জন্য ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও রংপুর বিভাগীয় পর্যায়ে সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে। গত ৩১ মে পর্যন্ত সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালগুলোতে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৬৪৫টি।'

নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, 'সারাদেশে (৩১ মার্চ ২০২৩ পর্যন্ত) এসিড নিক্ষেপ সংক্রান্ত বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৩৭৬টি।'

আইনমন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী, এসিড নিক্ষেপ সংক্রান্ত বিচারাধীন মামলা সবচেয়ে বেশি ঢাকায় ৪০টি। রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, লক্ষ্মীপুর, জয়পুরহাট,ঝিনাইদহ, মেহেরপুর, সুনামগঞ্জ, নীলফামারী ও পঞ্চগড় জেলায় এসিড নিক্ষেপ সংক্রান্ত বিচারাধীন মামলা নেই।

আইনমন্ত্রী জানান, বিচারকরা এসিড নিক্ষেপ সংক্রান্ত মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করে থাকেন।

দ্রুত নিষ্পত্তির কারণেই বিচারাধীন মামলার সংখ্যা তুলনামূলক কম উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, 'এসিড নিক্ষেপ সংক্রান্ত বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ভবিষ্যতে আরও কমে যাবে।'

Comments