বাংলাদেশ চীনের দিকে ঝুঁকে পড়েনি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ছবি: বাসস

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশ কোনো দেশের লেজুড় নয় এবং চীনের দিকে কখনো ঝুঁকেও পড়েনি, কারণ, ঢাকা একটি 'ভারসাম্যপূর্ণ ও স্বাধীন' পররাষ্ট্রনীতি বজায় রেখে চলে।

ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ডিপ্লোম্যাটিক রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিক্যাব) সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে আজ তিনি বলেন, 'আমরা কারো লেজুড় নই.... আমরা চীনেরও লেজুড় নই।'

মোমেন আরও বলেন, 'কিছু লোক মনে করে আমরা চীনের দিকে ঝুঁকছি, কিন্তু (আসলে) আমরা কারও দিকে ঝুঁকছি না।'

তিনি বেইজিংকে উন্নয়ন অংশীদার অভিহিত করে 'চীনা ঋণের ফাঁদে' পড়ার আশঙ্কা নাকচ করে দিয়ে বলেন, এটি একটি ভুল ধারণা। কোনো কোনো পণ্ডিত এমন কথা বলেন। অনেকে এটা বিশ্বাস করে, বিশেষ করে কিছু বিদেশি প্রতিষ্ঠান। কোনো অবস্থাতেই আমরা 'চীনা ঋণের ফাঁদে' পড়ব না। বিদেশি ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা খুবই বিচক্ষণ ও সতর্ক। আমরা অপ্রয়োজনীয় ঋণ নেই না।

মোমেন বলেন, জনকল্যাণের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ অব্যাহতভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক বিদেশ নীতি—সকলের প্রতি বন্ধুত্ব, কারো প্রতি বিদ্বেষ নয়—অনুসরণ করে চলেছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতের সঙ্গে ঢাকার সম্পর্ককে 'সুদৃঢ়' এবং 'আমরা ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি সোনালি অধ্যায়ে রয়েছি' বলে অভিহিত করেন।

তিনি বলেন, ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কও ভালো এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মতে, ওয়াশিংটন বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করতে চায়।

মোমেন বলেন, ঢাকা সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখছে। সব দেশের সঙ্গে আমাদের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। সেজন্য জাতিসংঘে যেকোনো নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে আমরা জয়ী হই।

আইএমএফের মতে, একটি দেশ ঋণের ফাঁদে পড়ার ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারে যদি এর মোট বৈদেশিক ঋণের ৫৫ শতাংশের বেশি একটি একক উৎস বা দেশ থেকে আসে।

মোমেন বলেন, তবে, বাংলাদেশের জিডিপিতে বৈদেশিক ঋণের অংশ মাত্র ১৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ, যার মধ্যে ৬১ শতাংশ এডিবি, আইএমএফ এবং বিশ্বব্যাংকের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো সরবরাহ করেছে এবং জাপান ১৭ শতাংশ নিয়ে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ একক দেশ হিসেবে ঋণ প্রদানকারী।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চীন থেকে বাংলাদেশ সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ নিয়েছে, যা মোট জিডিপির শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ।

Comments

The Daily Star  | English

No price too high for mass deportations

US President-elect Donald Trump has doubled down on his campaign promise of the mass deportation of illegal immigrants, saying the cost of doing so will not be a deterrent.

3h ago