যানবাহনের অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল পুনর্বিবেচনার দাবি পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের

সরকার নির্ধারিত হিসাবে দেশে ৬৫ হাজার বাস মিনিবাস, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ব্যবহার করা যাবে না
বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণ ও পণ্য পরিবহন মালিক ফেডারেশন
আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণ ও পণ্য পরিবহন মালিক ফেডারেশনের নেতারা | ছবি: মোহাম্মদ সুমন/স্টার

পণ্য পরিবহনে ব্যবহৃত ট্রাক-কাভার্ড ভ্যানের অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল পুনঃনির্ধারণের দাবি জানিয়েছেন বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণ ও পণ্য পরিবহন মালিক ফেডারেশন।

আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন সংগঠনটির নেতারা আরও ৩টি দাবি জানান।

সংগঠনটির নেতারা বলেন, চলতি বছরের মে মাসে পণ্য পরিবহনে ব্যবহৃত ট্রাক-কাভার্ড ভ্যানের অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল ২৫ বছর নির্ধারণ করে দেয় সরকার। এই হিসাবে দেশে ৬৫ হাজার বাস মিনিবাস, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ব্যবহার করা যাবে না। দেশে চলমান ডলার সংকটের মধ্যে গাড়ি আমদানি করা হলে ডলার সংকট আরও বেড়ে যাবে।

জাতীয় নির্বাচনের আগে পরিবহন সংকটের অজুহাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে যাবে। পাশাপাশি সরকারকে বেকায়দায় ফেলবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন বক্তরা।

লিখিত বক্তব্য পড়ে ফেডারেশনের সদস্য সচিব মনজুরুল আলম চৌধুরী বলেন, 'গাড়ির ইঞ্জিন ও যন্ত্রাংশ আমদানি করে তা প্রয়োজন অনুসারে যানবাহন সংযুক্ত করা হয়। ফলে কোনো যানবাহনই অচল থাকে না। ক্ষতিগ্রস্ত ইঞ্জিন বা ইঞ্জিনের পার্টস, বডি বা আনুসাঙ্গিক অন্যান্য পার্টস নতুন করে পুনরায় লাগানো হলে তা সম্পূর্ণ রূপে বিআরটিএর ফিটনেস সার্টিফিকেট অনুযায়ী চলাচলে উপযোগী হয়। যেসব গাড়ি বিআরটিএর মান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারবে না, সেগুলো স্ক্র্যাপ করা আমাদেরও দাবি।'

তিনি বলেন, 'নতুন আয়ুষ্কাল অনুসারে যানবাহন বাতিল করা হলে সংকট দেখা দেবে। অর্থনৈতিক মন্দাভাবের মধ্যে এই ধরনের আইন প্রয়োগ করে নির্বাচনকে ঘিরে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।'

সংবাদ সম্মেলন থেকে সরকারের উদ্দেশে যানবাহনের অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল ৩০ বছর এবং বিআরটিএ নিবন্ধনভুক্ত হওয়ার সময় থেকে আয়ুষ্কাল বিবেচনা করার দাবি জানানো হয়।

তাছাড়া গাড়ির আয়ুষ্কালের নীতিমালা প্রণয়নে বিভাগীয় পর্যায় থেকে মালিক প্রতিনিধির ক্র্যাপ নীতিতে সম্পৃক্ত করা ও ২০২৪-২৫ আর্থিক সাল থেকে ক্র্যাপ নীতি পুণঃসংশোধন করে কার্যকর করার দাবি জানান সংগঠনটির নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণ ও পণ্য পরিবহন মালিক ফেডারেশনের আহ্বায়ক জহুর আহাম্মদ। এছাড়া চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, কুমিল্লা, ফেনী, রাঙ্গামাটি ও কক্সবাজারের বাস, ট্রাক এবং পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের অন্তত ২০টি সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

Comments