বাংলাদেশে নির্বাচনে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মোতায়েন চান ১৪ কংগ্রেসম্যান

আফ্রিকার মালিতে মোতায়েনরত জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীর এক সদস্য। ছবি: এএফপি

বাংলাদেশে নির্বাচনের সময় 'ভোটারদের ভয়ভীতি, হয়রানি বা হামলা প্রতিরোধে' শান্তিরক্ষী মোতায়েনের জন্য জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে চিঠি দিয়েছেন ১৪ জন কংগ্রেসম্যান।

এতে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের উচিত বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন তত্ত্বাবধান এবং পরিচালনায় অংশগ্রহণ করা।

জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা টমাস গ্রিনফিল্ডের উদ্দেশে এই চিঠি লেখা হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সরকারের কথিত অপরাধের তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত জাতিসংঘের উচিত মানবাধিকার কাউন্সিলে বাংলাদেশের সদস্যপদ অবিলম্বে স্থগিত করা।

এতে বলা হয়, গত ৬ থেকে ৮ মাসে হাজারো শান্তিপূর্ণ ও সাহসী বিক্ষোভকারী অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের সমর্থনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। এই বিক্ষোভগুলো প্রায়ই সহিংসতা, কাঁদুনে গ্যাস এবং পুলিশ ও অন্যান্য রাষ্ট্রীয় বাহিনীর দ্বারা নৃশংস হামলার সম্মুখীন হয়েছে।

চিঠিতে আরও বলা হয়, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বিভাগ অস্থায়ীভাবে বাংলাদেশের র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) যেকোনো সদস্যকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে মোতায়েন করা বন্ধ রাখতে হবে, যতদিন না তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত সম্পন্ন হয়। 

এতে বলা হয়, আধা-সামরিক বাহিনী র‌্যাবের বিরুদ্ধে যেসব গুরুতর অপরাধের অভিযোগ উঠেছে, তার মধ্যে রয়েছে—নির্যাতন, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড।

চিঠিতে এসব কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে অবিলম্বে নিন্দা জানানোর দাবিও জানিয়েছেন ১৪ কংগ্রেসম্যান।

গতকালের চিঠিতে সই করা ১৪ কংগ্রেসম্যান হলেন—বব গুড, স্কট পেরি, অ্যানা পলিনা-লুনা, যশ ব্রেচেন, র‌্যালফ নরম্যান, এন্ড্রু ক্লেড, এইলি ক্রেইন, করি মিলস, পল এ গসার, ডোগ লামাফা, রনি এল জ্যাকসন, র‌্যান্ডি ওয়েবার, ব্রেইন বেবিন ও গ্লেন গ্রোথম্যান।

বব গুড এক টুইটে বলেন, 'বাংলাদেশের জনগণ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রাপ্য। বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সরকারের সহিংসতার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আমি আমার ১৩ সহকর্মীকে নিয়ে জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে একটি চিঠি দিয়েছি।'

আজ শুক্রবার সকালে বব গুডের অফিস থেকে দ্য ডেইলি স্টারকে এই চিঠির সত্যতা নিশ্চিত করা হয়েছে। 

Comments

The Daily Star  | English

Can't afford another lost decade for education

Whenever the issue of education surfaces in Bangladesh, policymakers across the political spectrum tend to strike a familiar chord. "Education is our top priority," they harp

3h ago