শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকারকে সম্মান জানানোর আহ্বান অ্যামনেস্টির

‘মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকারের সুবিধার্থে কর্তৃপক্ষের তাদের দায়িত্ব পালন করা উচিত।’
অ্যামনেস্টির মানবাধিকার সনদ
ছবি: সংগৃহীত

গত শনিবারের সহিংসতার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, এর প্রভাব নির্বাচনের আগে, নির্বাচনের সময় ও পরবর্তীতে মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর পড়তে পারে।

চলমান এই সংকট কমাতে এবং ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকারের প্রতি সম্মান জানাতে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

আজ সোমবার দেওয়া এক ‍বিবৃতিতে এ আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংস্থাটি।

বিবৃতিতে অ্যামনেস্টির দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক অন্তর্বর্তীকালীন আঞ্চলিক পরিচালক স্মৃতি সিংহ বলেছেন, বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে আগামী মাসগুলোতে আরও সহিংতা ও অস্থিরতা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে নাগরিকদের অধিকার লঙ্ঘনের হুমকিও বাড়ছে। সে কারণে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনাটা জরুরি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও আগামী বছরের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় নির্বাচন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে করার দাবিতে গত ২৮ ও ২৯ জুলাই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ অন্যান্য দল।

তাদের কর্মসূচি শেষ হয়েছে পুলিশের সঙ্গে সহিংসতার মাধ্যমে এবং বিক্ষোভকারী ও বিরোধী দলের নেতাদের ওপর হামলা ও গ্রেপ্তারের অভিযোগও উঠেছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, সহিংসতার ঘটনায় এক সপ্তাহে প্রায় ৭০০ জনকে আটক করা হয়েছে।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে দেওয়া বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলছে, 'কর্তৃপক্ষের উচিত হবে উত্তেজনা কমানো। বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে শুধু সেসব আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে ব্যবহার করতে হবে, যারা মানবাধিকার রক্ষা করে সভা-সমাবেশ ঘিরে পুলিশি সেবা দিতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। এসব সংস্থা প্রয়োজন ছাড়া বল প্রয়োগ করতে পারবে না এবং তা অবশ্যই যৌক্তিক হতে হবে।'

বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের প্রতি সংযত থাকার আহ্বানও জানিয়ে বলেছে, অতি প্রয়োজন হলেই কেবল ন্যূনতম শক্তি প্রয়োগ করা যেতে পারে। কোনোভাবেই সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করতে আগ্নেয়াস্ত্র ও রাবার বুলেট ব্যবহার করা যাবে না। গুটিকয় মানুষের সহিংস আচরণে এমন প্রতিক্রিয়া দেখানো যাবে না, যাতে পুরো বিক্ষোভ সহিংস হিসেবে বিবেচিত হয়।

বিরোধীদলীয় নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও রহিম নেওয়াজের ওপর হামলার নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের অবিলম্বে বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

একইসঙ্গে বিক্ষোভকারী ও বিরোধী নেতাদের যেন নির্বতনমূলক গ্রেপ্তার করা না হয়, তা নিশ্চিত করতেও কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকারের সুবিধার্থে কর্তৃপক্ষের তাদের দায়িত্ব পালন করা উচিত বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন স্মৃতি সিংহ।

Comments

The Daily Star  | English

Abu Sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

12h ago