‘জাতিসংঘ বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন প্রত্যাশা করে’

জাতিসংঘ মহাসচিবের উপমুখপাত্র বলেন, ‘প্রথমত, নির্বাচনের বিষয়ে, জাতিসংঘ বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ, গ্রহণযোগ্য এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন প্রত্যাশা করে।’
‘জাতিসংঘ বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন প্রত্যাশা করে’
জাতিসংঘ মহাসচিবের উপমুখপাত্র ফারহান হক। ছবি: সংগৃহীত

জাতিসংঘ বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ, গ্রহণযোগ্য ও সব দলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন প্রত্যাশা করে বলে জানিয়েছেন, জাতিসংঘ মহাসচিবের উপমুখপাত্র ফারহান হক।
 
গতকাল নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

কয়েক লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবতার জন্য অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এসব সত্ত্বেও সুশীল সমাজের কিছু অংশ এবং মানবাধিকার বিষয় কাজ করা কিছু সংগঠন, এমনকি মার্কিন কংগ্রেসের কিছু সদস্য জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন থেকে বাংলাদেশকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন উল্লেখ করে ওই সাংবাদিক জানতে চান, জাতিসংঘের উপমুখপাত্র এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করবেন কি না।

তিনি আরও বলেন, আমেরিকা থেকে 'তথাকথিত সুশীল সমাজ এবং কিছু নির্বাচিত ব্যক্তি' বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, বাংলাদেশ সরকার সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সে লক্ষ্যে বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলো অবাধে সভা-সমাবেশ শুরু করেছে। এ অবস্থায় জাতিসংঘের অবস্থান জানতে চান তিনি।

জাতিসংঘ মহাসচিবের উপমুখপাত্র বলেন, 'প্রথমত, নির্বাচনের বিষয়ে, জাতিসংঘ বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ, গ্রহণযোগ্য এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন প্রত্যাশা করে।'

রোহিঙ্গা ইস্যু বিষয়ে তিনি বলেন, 'রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতি বাংলাদেশের উদারতার প্রশংসা করেছে জাতিসংঘ।'

'এবং আমরা আশা করি, এটা অব্যাহত থাকবে। মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্যপদ নিয়ে মন্তব্য করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়, যে বিষয়ে সদস্য রাষ্ট্রগুলো সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে', বলেন ফারহান হক।

Comments

The Daily Star  | English

Teesta floods bury arable land in sand, leaving farmers devastated

40 unions across 13 upazilas in Lalmonirhat, Kurigram, Rangpur, Gaibandha, and Nilphamari are part of the Teesta shoal region

1h ago