বিশ্ব নদী দিবস

বালুখেকোদের কবলে দেশের ৭৭ নদী

বিশ্ব নদী দিবস
স্টার ফাইল ছবি

আইন অমান্য করে দেশের বিভিন্ন নদী ও সমুদ্র উপকূল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। যার ফলে জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হওয়ার পাশাপাশি দেশের জলজ বাস্তুতন্ত্র বিপর্যস্ত হচ্ছে। 

সম্প্রতিকালে রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টার (আরডিআরসি) পরিচালিত এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। সংস্থাটি মূলত জলজ সম্পদের বিভিন্ন দিক নিয়ে গবেষণা করে থাকে।

বর্তমানে বালু উত্তোলনের জন্য সরকারিভাবে দেশের ৭০৭টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। যেগুলো 'বালুমহাল' নামে পরিচিত। যার মধ্যে ৩৮২টি বালুমহাল বিভিন্ন ব্যক্তিকে ইজারা দেওয়া হয়েছে।

'বাংলাদেশে বালু উত্তোলন মানচিত্র-২০২৩' শিরোনামে পরিচালিত এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, দেশের ৭৭টি নদীর ১৩২টি পয়েন্ট থেকে ২৬৫ ব্যক্তি অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন। সমীক্ষা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২৬৫ জনের মধ্যে অন্তত ৫৪ জন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি।

প্রতিবেদন অনুসারে, পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র ও সুরমা বালু নদী থেকে সবচেয়ে বেশি বালু উত্তোলন করা হয়।

১৩২টি অবৈধ বালু উত্তোলন কেন্দ্রের মধ্যে পদ্মায় ২০টি, যমুনায় ১৩টি, মেঘনায় ১২টি, ব্রহ্মপুত্রে ছয়টি, সুরমা ও পিয়াইন নদীতে পাঁচটি, তিস্তায় চারটি, সাঙ্গুতে তিনটি এবং ইছামতিতে তিনটি কেন্দ্র রয়েছে। বাকিগুলো দেশের অন্যান্য নদীতে অবস্থিত।

গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, বঙ্গোপসাগরের অন্তত সাতটি কেন্দ্র থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।

অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন কীভাবে পরিবেশগত ভারসাম্য নষ্ট করে তা ব্যাখ্যা করে আরডিআরসির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আজাজ বলেন, 'বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ, আমরা মূলত নদী এবং নদীর সম্পদ, বিশেষ করে পানি এবং মাছের ওপর নির্ভরশীল। বালু উত্তোলন নদীর ভূ-প্রাকৃতিক পরিবেশকে প্রভাবিত করে, নদীগুলোর বাস্তুসংস্থান নষ্ট করে।'

ভূমি মন্ত্রণালয়ের ২০১৭-১৯ সালের তথ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে বালুমহালের সংখ্যা ছিল ৭৩৩টি। ২০১৭-১৮ সালে সেটা ৭০৭টিতে নেমে আসে।

২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৩৮২টি ড্রেজিং ও বালু উত্তোলনের জন্য লিজ দেওয়া হয়েছিল। যেটা মোট সংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি।ৎ

বালু উত্তোলন কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে সরকার ২০১০ সালে একটি আইন করে। যা জাতীয় সংসদের গত অধিবেশনে সংশোধন করে 'বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা (সংশোধন) আইন-২০২৩' নামকরণ করা হয়।

 

 

Comments

The Daily Star  | English
CAAB pilot licence irregularities Bangladesh

Regulator repeatedly ignored red flags

Time after time, the internal safety department of the Civil Aviation Authority of Bangladesh uncovered irregularities in pilot licencing and raised concerns about aviation safety, only to be overridden by the civil aviation’s higher authorities.

9h ago