‘ভিসা নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে টানাপোড়েনের আশঙ্কা নেই’

 ‘কোয়াডে’ যোগদানের বিষয়টি বিআইআইএসএসকে খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। ফাইল ছবি

বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসা নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঘোষণার পর বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে কোনো ধরনের টানাপোড়েনের আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

স্থানীয় সময় শনিবার ম্যানহাটনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্রের বিষয়ে আমাদের কোনো উদ্বেগ নেই। বাংলাদেশে আসন্ন নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে যারা, যুক্তরাষ্ট্র তাদের ভিসা দেবে না।'

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'আগামী ৫০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার করতে চান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।'

যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পাঠানো এক চিঠিতে বাইডেন বলেন, আমি আত্মবিশ্বাসী যে আমাদের অংশীদারিত্ব আগামী ৫০ বছর এবং তারও বেশি সময় ধরে অব্যাহত থাকবে।

যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়া বলেন, ভিসা নীতি ঘোষণা বিশ্বব্যাপী অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকারকে পুনর্ব্যক্ত করে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশিদের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে গণতান্ত্রিক নির্বাচন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যমের অংশীদারদের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে।

এর আগে, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, বাংলাদেশের হারানোর কিছু নেই এবং ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন নয়। কারণ তারা কোনো ভুল করছে না।

শুক্রবার রাতে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, যেহেতু সরকার যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আশ্বাস পেয়েছে, তাই আগামী নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কোনো কারণ নেই।

যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা বাংলাদেশে ভিসা নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হওয়া ব্যক্তিদের নাম বা সংখ্যা প্রকাশ করবে না।

দূতাবাসের মুখপাত্র ব্রায়ান শিলার শুক্রবার বলেন, মার্কিন আইন অনুযায়ী ভিসা রেকর্ড গোপনীয়।

তিনি বলেন, ভিসা নীতি ঘোষণার পর থেকে মার্কিন সরকার ঘটনাগুলো খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছে।

শিলার আরও বলেন, সাক্ষ্য-প্রমাণ পর্যালোচনার পর আমরা আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা, ক্ষমতাসীন দল এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছি।

Comments

The Daily Star  | English

'Election Commission shamelessly favouring a particular party'

Hasnat Abdullah says police obstructed NCP leaders and activists from entering EC building

59m ago