শরীয়তপুর

খাদ্য কর্মকর্তার বাড়িতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল

ভেদরগঞ্জ উপজেলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইকবাল মাহমুদের বাড়িতে সরকারি চাল। ছবি: সংগৃহীত

শরীয়তপুরে খাদ্য কর্মকর্তার বাড়ি থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল ও বিপুল সংখ্যক খালি বস্তা উদ্ধার করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ শনিবার সকালে ভেদরগঞ্জ উপজেলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইকবাল মাহমুদের বাড়িতে সরকারি চাল পাওয়া যায়।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মামুন দ্যা ডেইলি স্টারকে বলেন, এক বছর ধরে ইকবাল মাহমুদের বিরুদ্ধে আমাদের কাছে অভিযোগ আসছিল। কিন্তু প্রমাণ না থাকায় এতদিন পদক্ষেপ নেওয়া যায়নি। তার বাড়িতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল মজুদ রাখার খবর পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালায়। তার বাড়ি থেকে ৩০ কেজির ৩ বস্তা ও ৫০ কেজির ১০ বস্তা চাল এবং ১ হাজার ১০০ খালি চালের বস্তা উদ্ধার করা হয়। চাল জব্দ করে তার বাড়ি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।

বাড়িতে কেন সরকারি চাল রেখেছিলেন জানতে ইউএনও দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ইকবাল মাহমুদ ভ্রাম্যমাণ আদালতকে জানিয়েছেন গুদামের শ্রমিকদের দেওয়ার জন্য তিনি বাড়িতে চালগুলো রেখেছিলেন। তিনি বলেছেন গুদামের ছেঁড়াফাটা চালের বস্তা পরিবর্তনের জন্য খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলারদের কাছ থেকে নিজের টাকায় বস্তাগুলো সংগ্রহ করেছিলেন। কিন্তু আমার কাছে বিষয়টি সত্য মনে হয়নি। পরে তিনি ক্ষমাপ্রার্থনা করে বলেন আমার ভুল হয়েছে। এ ধরনের কাজ আর কখনো করব না।

ইউএনও আরও বলেন, সরকারি নির্দেশনা ছাড়া গুদাম থেকে এক বস্তা চালও বাইরে নেওয়ার সুযোগ নেই। কিন্তু গুদাম কর্মকর্তা নিজের বাড়িতে চালগুলো রেখেছেন। আমরা ধারণা করছি তিনি গত এক বছরে গুদামে ব্যাপক দুর্নীতি করেছেন। আমরা বিষয়টা তদন্ত করব। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ভেদরগঞ্জ উপজেলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইকবাল মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ। এই বিষয়ে পরে কথা বলব।

Comments

The Daily Star  | English

Suspected robbers attack police camp on the Meghna

Suspected robbers launched an assault on a newly established police camp in Munshiganj’s Gajaria upazila yesterday, sparking a gunfight between them and law enforcers yesterday.

6h ago