সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ছেড়েছে ৫ বাস, যাত্রী সংকটে গাবতলী টার্মিনাল

গাবতলী বাস টার্মিনালের সকাল ১১টার চিত্র। ছবি: শাহীন মোল্লা/স্টার

বিএনপির ডাকা দেশব্যাপী অবরোধ ঘিরে আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত অন্তত পাঁচটি আন্তঃজেলা বাস ঢাকার গাবতলী থেকে বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়েছে।

আজ সকালে সরেজমিনে গাবতলী বাস টার্মিনালে গিয়ে এ তথ্য জানা গেছে।

টার্মিনাল সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত পাঁচটি বাস টার্মিনাল ছেড়ে গেছে। তবে এখনো যাত্রী সংকট চলছে।

গোল্ডেন লাইন পরিবহনের টিকিট মাস্টার মুজিবুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, সকাল সোয়া ৭টায় আমাদের গোপালগঞ্জগামী একটি বাস ছেড়েছে। সেই বাসে মোটামুটি যাত্রী ছিল। এরপর সকাল সোয়া ৯টার দিকে আরও একটি বাস ছাড়ার কথা ছিল। কিন্তু যাত্রী না পাওয়ায় সেটা ছাড়া যায়নি। বিকেলে ও রাতে আরও কয়েকটি বাস ছাড়ার কথা। যাত্রী না পেলে সেগুলোও ছাড়া যাবে না।

'অবরোধ-হরতালের এক মাস হয়ে গেল। এখনো পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। এভাবে চলতে থাকলে তো আমরা চাকরি নিয়েই ঝুঁকিতে পড়ে যাব', বলেন তিনি।

গাবতলী টার্মিনালে কথা হয় গোপালগঞ্জগামী যাত্রী অপূর্ব অধিকারীর সঙ্গে। স্ত্রী ও শাশুড়িকে নিয়ে এসেছেন তিনি। বলেন, 'সকাল সোয়া ৯টায় একটা বাস ছাড়ার কথা ছিল। কিন্তু পর্যাপ্ত যাত্রী না পাওয়ায় বাসটি ছাড়েনি। বিকেলেরটা ছাড়বে কি না, তাও নিশ্চিত নয়। এত ব্যাগ নিয়ে ভেঙে ভেঙে যাওয়াও সম্ভব না। এখন সায়েদাবাদের দিকে যাচ্ছি। শুনেছি সেখান থেকে নাকি দুয়েকটা বাস ছাড়তে পারে।'

হানিফ পরিবহনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা ডেইলি স্টারকে জানান, আজ সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত তাদের পাঁচ থেকে ছয়টি বাস গাবতলী টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এর মধ্যে কেবল  খুলনাগামী একটি বাস তারা ছাড়তে পেরেছেন। যাত্রী না থাকায় বাকিগুলো ছাড়তে পারেননি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, অল্প কয়েকজন যাত্রী বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন।

শ্যামলী এনআর পরিবহনের কর্মচারী স্বপন চন্দ্র দাস ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এক মাস ধরে এই সংকট চলছে। আমাদের ধারণা ছিল, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে আসবে। কিন্তু এখন তো সেরকম দেখা যাচ্ছে না। এভাবে যাত্রী সংকট চলতে থাকলে তো আমাদের চাকরি টিকিয়ে রাখাই কষ্টসাধ্য হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Threat of fresh Rohingya influx looms as clashes erupt in Myanmar

Gunfire and explosions were heard late Friday night from villages across the border in Myanmar opposite Whykong union in Teknaf upazila of Cox’s Bazar. Residents, gripped by panic, reported that this was the most intense gunfire they had heard in months.

5h ago