বাংলাদেশ

পায়রা বন্দরে প্রথমবারের মতো ভিড়েছে এলপিজিবাহী জাহাজ

সোমবার ৩ হাজার ৩০০ টন এলপিজি নিয়ে ‘এমভি বসুন্ধরা এলপিজি চাতকী’ পায়রা বন্দরের ইনার অ্যাঙ্কারেজে নোঙর করে। পরে সেখান থেকে লাইটার জাহাজের মাধ্যমে খালাস কার্যক্রম শুরু হয়।
পায়রা বন্দরে এলপিজিবাহী জাহাজ
পটুয়াখালীর পায়রা বন্দরে প্রথমবারের মতো এলপিজি নিয়ে ভিড়েছে জাহাজ। ছবি: সোহরাব হোসেন/স্টার

পটুয়াখালীর পায়রা বন্দরে প্রথমবারের মতো তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) নিয়ে একটি জাহাজ ভিড়েছে। বসুন্ধরা গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা এলপিজি লিমিটেড দুবাই থেকে এই গ্যাস আমদানি করেছে।

গত সোমবার ৩ হাজার ৩০০ টন এলপিজি নিয়ে 'এমভি বসুন্ধরা এলপিজি চাতকী' পায়রা বন্দরের ইনার অ্যাঙ্কারেজে নোঙর করে। পরে সেখান থেকে লাইটার জাহাজের মাধ্যমে খালাস কার্যক্রম শুরু হয়।

এদিকে, ৪৩ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন ওপিসি ক্লিংকার ও ১০ হাজার ১০০ মেট্রিক টন চুনাপাথর নিয়ে বুধবার রাতে পায়রা বন্দরে ভিড়েছে মেঘনা হারমোনি নামের আরেকটি জাহাজ। ১৮৯ দশমিক ৯৯ মিটার দৈর্ঘ্য, ৩২ দশমিক ২৬ মিটার প্রস্থ ও ১২ দশমিক ৭০ মিটার গভীরতার জাহাজটির পণ্য খালাস কার্যক্রম চলছে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল গোলাম সাদেক বন্দরের নিজস্ব জলযানযোগে বন্দরের ইনার অ্যাংকারেজে থাকা এই জাহাজটি পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের এ বিষয়ে ব্রিফিং করেন। এ সময় বন্দরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বন্দরের চেয়ারম্যান বলেন, পায়রা বন্দর স্বাধীন বাংলাদেশে গ্রীন ফিল্ড পোর্ট হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। গত বছর ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের কাজ সমাপ্ত হয় এবং এখন চলছে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ। মেঘনা গ্রুপসহ দেশের বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো এই বন্দর ব্যবহার করতে শুরু করেছে। আশা করি আগামীতে দেশের আরও বড় বড় কোম্পানিগুলো এই বন্দর ব্যবহার করবে।

এলপিজিবাহী জাহাজটি ভিয়েতনামের নাগিসন বন্দর থেকে ছেড়ে এসে ৯ ডিসেম্বর পায়রার বহির্নোঙ্গরে এসে পৌঁছায়। জাহাজটি বহির্নোঙ্গরে থাকা অবস্থায় ১৬ হাজার মেট্রিকটন পণ্য খালাস করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে ৬০ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চুনাপাথর নিয়ে বন্দরে প্রবেশ করবে মেঘনা গ্রুপের একটি জাহাজ। এ ছাড়া বন্দরে আসার উদ্দেশ্যে এই গ্রুপের আরও পাঁচটি জাহাজের এলসি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক ও মিডিয়া উইং) আব্দুল আজিজুর রহমান।

বর্তমানে জাহাজটি থেকে লাইটারেজের মাধ্যমে এলপিজি ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন ২০১৬ সাল থেকে দেশি-বিদেশি ২ হাজার ৩০০ জাহাজের পণ্য খালাসের মাধ্যমে বন্দর কর্তৃপক্ষ আয় করেছে ১১০০ কোটি টাকা।

Comments