‘বাবার লাশের জন্য গতকাল থেকে অপেক্ষায় আছি’

মো. শফিউদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত

'বাবার লাশ এখনো পাইনি। সোমবার বিকেল ৩টায় বাবা মারা গেছেন। কারাগার কর্তৃপক্ষ বলেছে, বাবার লাশ দেবে। আমরা লাশের অপেক্ষায় হাসপাতালে দাঁড়িয়ে আছি। লাশ নিয়ে বাড়িতে যাব।'

আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে কথাগুলো টেলিফোনে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন পুলিশ হেফাজতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া বিএনপি নেতা শফিউদ্দিনের (৭৪) ছেলে সোহেল।

সোহেল বলেন, 'গতকাল থেকে লাশের অপেক্ষায় হাসপাতালে আমরা এখনো লাশ পাইনি।'

মৃত শফিউদ্দিন কাপাসিয়া উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের রাওনাট পূর্বপাড়া ডোয়াইপাখুরি দুই নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি।

আজ সকাল সাড়ে ৯টায় গাজীপুর জেলা কারাগারের জেল সুপার মো. আনোয়ারুল করিম দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, কারাবন্দি হাজতি গতকাল বিকাল ৩টার দিকে মারা গেছেন। তাকে গাজীপুর জেলা কারাগার থেকে কেরানীগঞ্জ কারাগারে পাঠিয়েছিলাম। তিনি হাসপাতালে মারা গেছেন।

শফিউদ্দিনের ছেলে সোহেল বলেন, 'গত ২৬ অক্টোবর দিনগত রাতে কাপাসিয়া থানার পুলিশ আমার বাবাকে ডোয়াইপাখুরির নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে ২০২২ সালের ১৬ নভেম্বরের একটি পুরোনো বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে গাজীপুর আদালতে পাঠায়। পুলিশ তখন তার ১০ দিনের রিমান্ড চায়। অসুস্থ ও বয়স্ক বিবেচনায় বাবাকে আদালত জামিন ও রিমান্ড না দিয়ে কারাগারে পাঠান। তিনি দীর্ঘদিন শ্বাসকষ্ট ও হৃদরোগজনিত কারণে কারাগারের হেফাজতে গাজীপুর সদর ও ঢামেক হাসপাতালে কয়েক দফা চিকিৎসাধীন ছিলেন।' 

'সর্বশেষ গত ১০ দিন আগে অসুস্থ হয়ে পড়লে কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে চিকিৎসার জন্য তাকে ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। এর আগে বাবা গাজীপুর জেলা কারাগারে ছিলেন', বলেন তিনি। 

পরিবারের সদস্যরা জানান, কারাগার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কারা তত্ত্বাবধানে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে শফিউদ্দিনের ময়নাতদন্ত শেষে তাদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে। এখনো সেই প্রক্রিয়া চলছে। 

গাজীপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ রিয়াজুল হান্নান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মৃত শফিউদ্দিন কাপাসিয়া দুর্গাপুর ইউনিয়নের রাওনাট পূর্বপাড়া ডোয়াইপাখুরি দুই নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ছিলেন। ৭৪ বছর বয়সী প্রাক্তন শিক্ষক শফিউদ্দিন পুলিশ হেফাজতে সোমবার বিকেল ৩টার দিকে ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।'

এ বিষয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার (ভর্তি শাখা ইনচার্জ)  সৈয়দ হাসান আলী দ্য ডেইলি স্টারকে মঙ্গলবার জানান, আইনগত প্রক্রিয়া শেষেশফিউদ্দিনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এই প্রক্রিয়া সময়ের ব্যপার। কখন শেষ হবে তা জানা নেই, তিনি বলেন।

তিনি আরও জানান, শফিউদ্দিনকে গাজীপুর জেলা কারাগার থেকে অসুস্থ অবস্থায় আমাদের এখানে পাঠানো হয়েছিল।

Comments

The Daily Star  | English
Kudos for consensus in some vital areas

Kudos for consensus in some vital areas

If our political culture is to change, the functioning of our political parties must change dramatically.

5h ago