বিদেশ ভ্রমণ কঠিন হচ্ছে বিমানে কর্মরতদের

বিমান
ফাইল ছবি

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের যে কোনো কর্মীর যে কোনো কারণে বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে সংস্থাটির শীর্ষ কর্মকর্তাদের অনুমোদন নিতে হবে।

এ তথ্য নিশ্চিত করে বিমানের এমডি ও সিইও শফিউল আজিম দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, এতদিন বিভিন্ন বিভাগের কর্মীদের বিদেশ সফর অনুমোদনের ক্ষমতা ছিল সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় প্রধানদের হাতে।

আজ বৃহস্পতিবার বিমান ঘোষণা দিয়েছে, ককপিট ক্রু সহ সব কর্মীদের বিদেশ ভ্রমণের আগে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে।

আজকের আদেশ শিগগির কার্যকর হবে। এ আদেশে বিমান কর্মীদের বিদেশ ভ্রমণের জন্য কিছু শর্তও বেঁধে দিয়েছে।

বিমানের এমডি জানান, গত বছরের অক্টোবরে বিমানের সহকারী ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আনোয়ার হোসেনের কানাডায় যাওয়ার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এই নতুন আদেশ দেওয়া হলো।

যথাযথ অনুমতি ছাড়াই আনোয়ার হোসেন কানাডা গেছেন, এমন অভিযোগে ১৫ জানুয়ারি বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা করে বিমান কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় সংস্থাটিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।

আনোয়ার হোসেন অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

বিমানের নতুন আদেশে বলা হয়েছে, ককপিট ক্রু সহ সব কর্মচারী প্রতি দুই বছরে একবার উন্নত চিকিত্সার জন্য কিংবা পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসার জন্য সঙ্গী হিসেবে কিংবা ধর্মীয় কারণে দেশের বাইরে যেতে পারবেন। এছাড়া, নিকটাত্মীয়ের সঙ্গে দেখা করতে কিংবা পর্যটন গন্তব্যে বছরে দুইবার যেতে পারবেন। 

কর্মচারীদের ভ্রমণের আগে সংশ্লিষ্ট অ্যাডমিন সেলে আবেদন করতে হবে এবং তারপর দেশের বাইরে সফরের জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ছাড়পত্র এবং অনুমোদন পেতে আবেদনটি নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্র বিষয়ক বিভাগে যাবে।

বিমানের এমডি বলেন, 'আমি যদি কঠোর না হই, তাহলে বিদেশ ভ্রমণের অনুমোদন পাওয়ার ক্ষেত্রে ত্রুটিগুলো যাচাই করতে পারব না। এমন কঠোর অবস্থান নেওয়া ছাড়া আমার কোনো বিকল্প ছিল না।'

বিমান প্রধান আরও বলেন, এসব ক্ষেত্রে বিমানের যথেষ্ট দুর্বলতা আছে।

বিমানের সাবেক ফার্স্ট অফিসার সাদিয়া আহমেদের মামলার কথা উল্লেখ করে শফিউল বলেন, বিমানের এমডির অনুমোদনের প্রয়োজন হলে তিনি দেশ ছেড়ে যেতে পারতেন না।

শিক্ষাগত সনদ জাল করার দায়ে সাময়িক বরখাস্ত সাদিয়া গত বছরের এপ্রিলে বিমানের তদন্ত সংস্থার সামনে হাজির না হয়েই দেশ ত্যাগ করেন।

 

Comments

The Daily Star  | English

CSA getting scrapped

The interim government yesterday decided in principle to repeal the Cyber Security Act which has been used to curb press freedom and supress political opposition.

2h ago