বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত

‘গতকাল এত গোলাগুলি হয়েছে, এমন আগে কোনোদিন শুনিনি’

আজ বুধবার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন জেলা প্রশাসক। ছবি: সংগৃহীত

গত ৩ দিনে বান্দরবান সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে ১৭-১৮টি মর্টারশেলের শব্দ শোনা গেছে বলে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন জানিয়েছেন।

আজ বুধবার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকা পরিদর্শনে যান তিনি।

এ সময় জেলা প্রশাসক সাংবাদিকদের বলেন, সীমান্তের ওপাড়ে চলমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় আছে।

ঘুমধুম ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের তুমব্রু পাড়ার বাসিন্দা কান্ত কুমার সেন বলেন, 'গতকাল সন্ধ্যায় সীমান্তের ওপারে আধঘণ্টা ধরে যে গোলাবর্ষণ হয়েছে, আগে এরকম কোনোদিন শুনিনি।'

'আমাদের বাড়ির পাশে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ক্যাম্প। আবার কখন কী হয়, এই ভয়ে মাকে বান্দরবানের আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে পাঠিয়েছি,' বলেন তিনি।

একই এলাকার বাসিন্দা সৈয়দ আলম বলেন, 'ওপারে গোলাগুলি কখনো লাগাতার হয়, আবার কখনো হঠাৎ হঠাৎ হয়। কোথায় যাব। ভয় পেলেও, নিজ ভিটেমাটিতে থাকতে হচ্ছে।'

জেলা প্রশাসক বলেন, 'বিগত তিনদিনে সীমান্তের ওপারে ১৭-১৮টি মর্টারশেল শব্দ শোনা গেছে বলে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। গত পরশু "জিরো লাইনে" এক বাড়ির পাশে একটি মর্টারশেলের খোসা এসে পড়েছে। গতকাল সন্ধ্যায়ও সীমান্তের ওপারে গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে।'

তবে আজ দুপুর পর্যন্ত কোনো অস্থিতিশীল পরিবেশ দেখতে পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।

তিনি জানান, বিজিবি, সেনাবাহিনী, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে আছে। আপাতত কোনো ঝুঁকি নেই।

জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, 'সামনে এসএসসি পরীক্ষা। স্কুল ও পরীক্ষা কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করেছি, মোটামুটি স্বাভাবিক, ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা।' 

'তবে, জরুরি পরিস্থিতি তৈরি হলে প্রয়োজনে কেন্দ্র স্থানান্তরের জন্য বিকল্প বিবেচনা করছি। জনসাধারণের মধ্যে কোনো আতঙ্ক যেন না থাকে, সে ব্যাপারে কাজ চলছে,' বলেন তিনি।

এদিকে, রোহিঙ্গা ট্রানজিট ক্যাম্প বান্দরবানের ঘুমধুম ইউনিয়নে। সেগুলোও অনেকাংশে প্রস্তুত বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

জেলা প্রশাসক বলেন, 'ঘুমধুম ইউনিয়নে সীমান্ত এলাকায় মূল ট্রানজিট ক্যাম্প অস্থায়ীভাবে ব্যবহার করার জন্য শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন কার্যালয়কে হস্তান্তর করা হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যা নির্দেশনা দেবে সেভাবে প্রত্যাবাসনের কাজ শুরু করবে।'

সীমান্ত পরিদর্শনে যাওয়া জেলা পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন জানান, কয়েকদিন ধরে সীমান্তে উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিজিবিসহ সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর আছে। 

Comments

The Daily Star  | English

Students’ unions: Legal bars, admin delays stall polls in many universities

Of 56 public universities across the country, only seven have the legal provision for a central students' union

3h ago