স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকার সঠিক পথেই এগিয়ে যাচ্ছে: আইনমন্ত্রী

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনে হ্যাট্রিক জয় আনিসুল হকের
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। স্টার ফাইল ছবি

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকার সঠিক পথেই এগিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।

পিরোজপুরে সাড়ে ৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নবনির্মিত আটতলা বিশিষ্ট চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আজ রোববার ঢাকা থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আনিসুল হক বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে সুখী-সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি রাজনৈতিক অঙ্গীকার হলেও এর সঙ্গে রয়েছে তার গভীর সম্পর্ক। কারণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা। গত ১৫ বছরের উন্নয়নের গতি-প্রকৃতি, অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজনীতি সবকিছু বিচার-বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে তার সরকার সঠিক পথেই এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নের এই গতি-পথকে মসৃণ ও গতিশীল রাখতেই দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ আবারও জননেত্রী শেখ হাসিনাকে নিরঙ্কুশভাবে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে। জনগণের বিশ্বাস, একমাত্র তিনিই পারবেন উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু এমন একটি স্বাধীন ও শক্তিশালী বিচার বিভাগের স্বপ্ন দেখেছিলেন, যেখানে বিচারপ্রার্থী জনগণ দ্রুত ন্যায়বিচার পাবেন। তিনি শুধু এই স্বপ্নই দেখেননি, বাংলাদেশকে স্বাধীন করার পর একটি আইনি কাঠামোও তৈরি করে দিয়েছিলেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর সামরিক শাসকদের জাঁতাকলে বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন আর প্রস্ফুটিত হতে পারেনি।

আইনমন্ত্রী বলেন, ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর উচ্চ আদালতের একটি রায় অনুযায়ী নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পুরোপুরি পৃথক হলেও তখন স্বাধীনভাবে চলার মতো বিচার বিভাগের বিশেষ করে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসির নিজস্ব কোনো অবকাঠামো ছিল না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর এই সমস্যা দূরীকরণে বেশকিছু যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, যার মধ্যে অন্যতম পদক্ষেপ ছিল জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসির স্থান সংকুলানের জন্য প্রথম পর্যায়ে দুই হাজার ২৬০ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪১টি জেলা শহরে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ। অত্যন্ত আনন্দের বিষয়, এই প্রকল্পের মাধ্যমে ইতোমধ্যেই ৪১টি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। অবশিষ্ট ২৩ জেলাতেও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যেই ভূমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ হয়েছে। এখন সেখানে ভবন নির্মাণের জন্য নতুন প্রকল্প গ্রহণ কার্যক্রম চলছে। নতুন এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে দেশের সব জেলার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসির অবকাঠমো সংকট সম্পূর্ণ দূর হবে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রাপ্তির অধিকারকে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বিচার বিভাগের আধুনিকায়ন অপরিহার্য। এই বিশ্বাসকে ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বিচার বিভাগের ডিজিটাইজেশনে আইনি পদক্ষেপসহ বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এক্ষেত্রে আদালত কর্তৃক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার আইন, ২০২০ প্রণয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও অধস্তন আদালতে ভার্চুয়াল কোর্ট প্রবর্তন—বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থা ডিজিটাইজেশনে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।

আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, পিরোজপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. মহিউদ্দীন মহারাজ, পিরোজপুরের জেলা ও দায়রা জজ, জেলা প্রশাসক, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ সুপার বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহা।

Comments

The Daily Star  | English

CSA getting scrapped

The interim government yesterday decided in principle to repeal the Cyber Security Act which has been used to curb press freedom and suppress political dissent.

7h ago