বাংলাদেশ

সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনির বিচার চান আ. লীগের এমপি কামাল মজুমদার

জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ বিচারের দাবি জানান।
প্রতীকী ছবি

সাবেক শিক্ষামন্ত্রী এবং বর্তমান সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনির বিরুদ্ধে নিজের প্রতিষ্ঠিত মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজকে ধ্বংস করার অভিযোগ এনে তার বিচার দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এবং সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার।

বুধবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ বিচারের দাবি জানান।

তবে কামাল আহমেদ মজুমদার দীপু মনির নাম উল্লেখ করেনি, তাকে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করেছেন।  

কামাল আহমেদ মজুমদার সংসদে বলেন, 'আমার নির্বাচনী এলাকা (মিরপুর-কাফরুল) অসংখ্য জামায়াতের নেতাকর্মী বসবাস করে। সেখানকার একমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মনিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ এখন ধ্বংসের মুখে পতিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় স্কুলটি পরিচালিত হয়ে আসছিল। হঠাৎ করে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও ঢাকার ডিসির কারসাজিতে জামায়াতকে ক্ষমতায় বসানোয় আমার গড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে গত শিক্ষাবর্ষে পরীক্ষার ফলাফল বিপর্যয় হয়েছে। ২৩০০ ছেলেমেয়ে ফেল করেছে। আগের বছর থেকে ১২০০ ছেলেমেয়ে জিপিএ-৫ কম পেয়েছে।'

তিনি আরও বলেন, 'প্রধান শিক্ষক জামায়াতের..তাকে ক্ষমতায় বসানো হয়েছে। তিনি প্যারালাইসিসে ভুগছেন, কথা বলতে পারেন না। শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে বারবার বলার পরেও তাকে এখনো সরানো হয়নি। কোর্টের পর কোর্ট মামলা তারা করছে, স্কুলটাকে ধ্বংসের মুখোমুখি তারা নিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান, স্কুলটাকে আপনি রক্ষা করুন। আপনার বরাদ্দ দেওয়া জমিতে আমি তিলে তিলে এ স্কুলটি গড়ে তুলেছি। এটি ননএমপিওভুক্ত ‍শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ট্রাস্টের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। আমি জানি না কী কারণে সাবেক শিক্ষামন্ত্রীর কুনজর পড়েছে স্কুলটির ওপর। আমি তারও বিচার চাই।'

গত সেপ্টেম্বরে মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের তখনকার অধ্যক্ষ মো. ফরহাদ হোসেনকে অবৈধ ঘোষণা করে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের তদন্ত কমিটি। বিষয়টি উচ্চ আদালতে গড়ায়।পরে আদালতের নির্দেশে গত বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠানের জ্যেষ্ঠতম শিক্ষক মো. জাকির হোসেনকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দিতে নির্দেশ দেয় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। তবে পরিচালনা কমিটি কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে ৬ মার্চ প্রতিষ্ঠানটির মূল বালিকা বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যান জাকির হোসেন। তখন দুই পক্ষের রেষারেষিতে অচলাবস্থা তৈরি হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে। বিষয়টি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনও করেছিলেন তৎকালীন শিল্প প্রতিমন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য কামাল আহমেদ মজুমদার।

Comments

The Daily Star  | English
Impact of esports on Bangladeshi society

From fringe hobby to national pride

For years, gaming in Bangladesh was seen as a waste of time -- often dismissed as a frivolous activity or a distraction from more “serious” pursuits. Traditional societal norms placed little value on gaming, perceiving it as an endeavour devoid of any real-world benefits.

18h ago