বাংলাদেশ

সরকারি মূল্য পুনর্বিবেচনার দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ

সরকার নির্ধারিত মূল্য পুনর্বিবেচনার দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। এতে বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা।
দোকান বন্ধ রেখে অলস সময় পার করছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গরুর মাংসের ব্যবসায়ীরা। ছবি: স্টার

সরকার নির্ধারিত মূল্য পুনর্বিবেচনার দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। এতে বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা।

গতকাল সোমবার জেলা শহরের সব মাংসের দোকান বন্ধ রাখেন ব্যবসায়ীরা। আজ মঙ্গলবার দুপুরে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সব মাংসের দোকান বন্ধ ছিল।

এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও ফারুকী বাজারের ব্যবসায়ী কামাল মিয়া দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, সোমবার সকালে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে তাদের কাছে লিফলেট বিতরণ করা হয়। লিফলেটে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬৬৪ টাকা ৩৯ পয়সা দরে বিক্রির নির্দেশনা দেওয়া হয়। 

কামাল মিয়া বলেন, 'সরকারি এই নির্দেশনা মানলে ব্যবসায়ীদের লোকসান গুনতে হবে। কেননা তারা খামারি এবং ব্যাপারীদের কাছ থেকে চামড়াসহ গরু কিনলে কেজি প্রতি খরচ পড়ে ৭২০ টাকার মতো। এ অবস্থায় সরকারের বেঁধে দেওয়া ৬৬৪ টাকা ৩৯ পয়সা মূল্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাজারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। এ কারণে তারা সরকারের বেঁধে দেওয়া মূল্য পুনর্বিবেচনার দাবিতে সব মাংসের দোকান বন্ধ রেখেছেন।' 

ব্যবসায়ীরা জানান, সরকারকে অবশ্যই এই দাম সমন্বয় করতে হবে অথবা খামারে গরুর দাম কমাতে হবে। অন্যথায় অনির্দিষ্টকালের জন্য মাংসের দোকান বন্ধ রাখা ছাড়া তাদের আর উপায় নেই।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কর্মচারী পলাশ মণ্ডল সোমবার শহরের বাজারগুলোতে লিফলেট বিতরণ করেন। পলাশ মণ্ডল জানান, মহাপরিচালকের কার্যালয়ের নির্দেশক্রমে বাজারগুলোতে লিফলেট বিতরণ করা হয়।

জেলা মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও আনন্দ বাজারের ব্যবসায়ী হোসেন মিয়া বলেন, 'আজ সমিতির পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হবে। এরপর আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান হবে।'

শহরের কাউতলী বাজারে আসা ক্রেতা চৌধুরী মো. শামসুজ্জামান সুজন বলেন, 'গরুর মাংস কিনতে বাজারে এসে দোকান বন্ধ থাকার বিষয়টি জানতে পারি। মাংস না কিনেই বাসায় ফিরতে হয়েছে। রমজান মাসে আমরা এমনটা প্রত্যাশা করিনি। আমরা চাই দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হোক।' 

এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মাংস ব্যবসায়ীরা এখন পর্যন্ত স্মারকলিপি দেয়নি। তারা দাবি-দাওয়া নিয়ে আসলে তাদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করা হবে।'

Comments