বাংলাদেশ

যানজটে ভোগান্তি উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রীদের

‘বাইপাইল থেকে চন্দ্রা পর্যন্ত সড়কে শতাধিক লোকাল বাস রাস্তায় যানবাহন থামিয়ে যাত্রী তোলায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।’
বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব প্রান্তের যানজটের আজ সকাল ৮টার চিত্র। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকার কল্যাণপুর থেকে গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ৮টায় বাসে করে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন বেসরকারি চাকরিজীবী শামীম রহমান।

নবীনগর-চন্দ্রা রোডের বাইপাইলে পৌঁছা পর্যন্ত তার ঈদযাত্রা স্বাভাবিকই ছিল।

'কিন্তু এরপর যানজটে আটকে যাই। আজ সকালে আমরা চন্দ্রা মোড় পার হই। সেখানে বেশ যানজট ছিল', টেলিফোনে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন শামীম।

আজ সকাল ৯টার দিকে তিনি বঙ্গবন্ধু সেতু পার হন।

শামীম বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত যানজট ছিল। বাইপাইল থেকে চন্দ্রা পর্যন্ত সড়কে শতাধিক লোকাল বাস রাস্তায় যানবাহন থামিয়ে যাত্রী তোলায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

আরেক যাত্রী আরাফাত রহমানও গতকাল সোমবার রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে কল্যাণপুর থেকে একটি বাসে ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার উদ্দেশে যাত্রা করেন।

তিনি টেলিফোনে ডেইলি স্টারকে বলেন, নবীনগর থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত যানজট ছিল। আজ সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে বাসায় পৌঁছেছি।

শামীম ও আরাফাতের মতো উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়া হাজারো মানুষ গতকাল রাত থেকে যানজটের কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে নারী ও শিশুদের।

গার্মেন্টস কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর গতকাল বিকেল থেকে বাড়ি ফেরা মানুষের ভিড় বেড়েছে। গাবতলী, সাভার, বাইপাইল ও চন্দ্রা মোড় থেকে গতকাল সন্ধ্যার পর থেকেই হাজারো মানুষ নিজ বাড়ির উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সদর দপ্তরে স্থাপিত সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে আজ সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে জানা যায়, টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত যানজট আছে।

কন্ট্রোল রুমের এক কর্মকর্তা ডেইলি স্টারকে বলেন, 'প্রধানত যানবাহনের প্রচণ্ড চাপ এবং ওই যানবাহন থেকে টোল আদায়ে বিলম্বের কারণেই এই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।'

তিনি বলেন, চন্দ্রা মোড় থেকেও যানজটের খবর পাওয়া গেছে। যানজট কমাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আমরা স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলছি।

এদিকে ঢাকা মহানগরীর চাঁনখারপুল ও যাত্রাবাড়ী থেকে পদ্মা সেতু হয়ে দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোর উদ্দেশে যাত্রা করা লোকজনকেও চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Comments