প্রার্থী অপহরণের ঘটনায় দুঃখিত, আত্মীয় বলে কাউকে সুযোগ দেওয়া হবে না: পলক

সিংড়া উপজেলা নির্বাচনে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে সোমবার দুপুরে একটি কালো মাইক্রবাসে তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। ছবি: সিসিটিভি ফুটেজ থেকে নেওয়া

অপহরণ ও মারধরের ঘটনায় আহত নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

আজ শুক্রবার তাকে হাসপাতালে দেখতে যান ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

গত সোমবার দেলোয়ারকে অপহরণের ঘটনায় অভিযুক্ত আরেক প্রার্থী লুৎফুল হাবীব রুবেল প্রতিমন্ত্রী পলকের শ্যালক বলে জানা গেছে। 

আজ রাজশাহী মেডিকেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, 'কে মন্ত্রীর শালা, কে মন্ত্রীর সম্বন্ধি, এটা বলতে গেলে বিপত্তি আরও বাড়তে পারে। সেরকম একটা দৃষ্টান্ত তৈরি করার সুযোগ পেয়েছি, সেটা কাজে লাগাব এবং বুঝিয়ে দেব।'

'কাউকে ভাঙিয়ে নিজের ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য কেউ যদি অপচেষ্টায় লিপ্ত হয় তার কপালে দুঃখ আছে,' বলেন তিনি।

পলক আরও বলেন, 'হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে যারা দোষী তাদের প্রশাসনিক, আইনগত ও সাংগঠনিক কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্যই আমরা কঠোর অবস্থানে আছি। সেক্ষেত্রে কার কী পরিচয়, কে আমার ভাই, কে আমার শ্বশুর কিংবা শ্যালক এটা কোনো বিবেচনার বিষয় নয়। এটা নিয়ে আমি আসলেই বিব্রত, লজ্জিত দুঃখিত এবং ক্ষমাপ্রার্থী।'

মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন সোমবার বিকেলে দেলোয়ার হোসেন অনলাইনে আবেদনের পর জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে মনোনয়নপত্রের প্রতিলিপি জমা দিতে যান। তখন দুর্বৃত্তরা তাকে মারধর করে একটি কালো মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। পরে তাকে মারধর করে বাড়ির সামনে ফেলে যায়।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার প্রতিপক্ষ প্রার্থী লুৎফুল হাবীব রুবেল ও তার সমর্থকদের দায়ী করছেন। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার সুমন আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে বলেছেন যে, লুৎফুল হাবীবের পক্ষে সুমনসহ অপর আসামিরা দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণ ও মারধর করেছেন।

পলক বলেন, 'ব্যক্তিগতভাবে আমি বিবেকের তাড়নায় আমার মনে হয়েছে এখানে আসা দরকার এবং স্পষ্ট বার্তা সবার কাছে জানিয়ে দেওয়া দরকার। এই ঘটনায় জড়িত আমার আত্মীয় কিংবা যেই হোক এটা ব্যবহার করে কোনো বাড়তি সুযোগ পাওয়ার সুযোগ নেই।'

এ সময় পলকের সঙ্গে সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওহিদুর রহমান, সিংড়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জান্নাতুল ফেরদৌস উপস্থিত ছিলেন।

প্রার্থীকে অপহরণ ও মারধরের অভিযোগের সত্যতা পেয়ে লুৎফুল হাবীবকে শোকজ করেছে নির্বাচন কমিশন। এছাড়া সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগও তাকে কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েছে।

লুৎফুল হাবীব‌ রুবেল সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও শেরকোল ইউনিয়ন পরিষদের সদ্য পদত্যাগ করা চেয়ারম্যান।

Comments

The Daily Star  | English

Budget fails to reflect spirit of discrimination-free society: Nahid Islam

The NCP leader slates lack of vision on inequality, jobs and education

44m ago