‘টর্পেডো-সদৃশ’ বস্তুটি নেওয়া হলো শের-ই-বাংলা নৌঘাঁটিতে

এটি কোন দেশ থেকে ভেসে এসেছে, তা এখনো বলা যাচ্ছে না।
জোয়ারের পানিতে খালটি ভরে গেলে ‘টর্পেডো-সদৃশ’ বস্তুটি ভাসিয়ে শের-ই-বাংলা নৌঘাঁটিতে নিয়ে যাওয়া হয়। ছবি: স্টার

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার মৌডুবী এলাকার নিজকাটা খাল থেকে 'প্রাকটিস ডামি টর্পেডো' উদ্ধার করে শের-ই-বাংলা নৌঘাঁটিতে নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীর সদস্যরা খালটি ধরে ভাসিয়ে ভাসিয়ে আজ সোমবার দুপুরে 'টর্পেডো-সদৃশ' বস্তুটিকে নৌঘাঁটিতে নিয়ে যায়।

রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হেলালউদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করছেন।

বস্তুটি একটি 'প্র্যাকটিস ডামি টর্পেডো' বলে জানিয়েছে নৌবাহিনী। ছবি: স্টার

গতকাল দুপুরে জোয়ারের পানির সঙ্গে খালে 'টর্পেডো-সদৃশ' বস্তুটি ভেসে এলে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীকে খবর দেয়।

পরে নৌবাহিনীর সদস্যরা সেখানে গিয়ে পর্যবেক্ষণ করে জানায়, 'টর্পেডো-সদৃশ' বস্তুটি একটি 'প্র্যাকটিস ডামি টর্পেডো'।

ওসি হেলালউদ্দিন বলেন, 'শের-ই-বাংলা নৌঘাঁটি থেকে নৌ-বাহিনীর সদস্যরা গতকাল সন্ধ্যার আগে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও পুলিশ যৌথভাবে রাতভর এটি পাহারা দেয়। আজ দুপুরে জোয়ারের পানিতে খালটি ভরে গেলে সেটি ভাসিয়ে শের-ই-বাংলা নৌঘাঁটিতে নিয়ে যাওয়া হয়।'

বানৌজা শের-ই-বাংলা নৌঘাঁটির সাব লেফটেন্যান্ট আ. আলিমের বরাত দিয়ে ওসি মো. হেলালউদ্দিন গতকাল জানিয়েছিলেন, সাবমেরিন ধ্বংসের কাজে যে মূল টর্পেডো ব্যবহার করা হয়, এটা তার একটি প্র্যাকটিস ডামি। এটি নিয়ে ভয়ের কিছু নেই। 

তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে অধিকতর তদন্ত করা হবে। তবে এটি কোন দেশের তা এখনো বলা যাচ্ছে না।

Comments