গৌরনদীতে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে ইউপি চেয়ারম্যানসহ আহত ৪

বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহতদের স্বজন ও স্থানীয় নেতারা। ছবি: টিটু দাস/স্টার

বরিশালের গৌরনদীতে উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর আরেক প্রার্থীর সমর্থকদের হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে এক ইউপি চেয়ারম্যানসহ অন্তত তিন জন আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার বাটাজোর বন্দরে এ ঘটনা ঘটে। 

গৌরনদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে সংঘর্ষের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আহতরা হলেন-স্থানীয় মাহিলারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলু, তার ভাই পিন্টু গুহ ও সমর্থক পলাশ  হাওলাদার এবং প্রতিপক্ষ প্রার্থীর ভাই দিলু হাওলাদার।

তাদের বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। পরে পিকলু ও দিলুকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, গৌরনদী উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মনির হোসেন মিয়ার পক্ষে কাজ করছেন মাহিলারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলু।

এতে আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী ও গৌরনদী পৌরসভার সাবেক মেয়র ও হারিসুর রহমান পিকলুর ওপর ক্ষুব্ধ হন। 

আজ রাতে পিকলু বাটাজোর বাজারে মনির হোসেন মিয়ার পক্ষে গণসংযোগে গেলে বাটাজোর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রব হাওলাদারের ভাই দিলু হাওলাদার, রাসেল ও তাদের অনুসারীরা পিকলু ও তার সমর্থকদের কুপিয়ে আহত করে।

পিকলুর স্ত্রী বিপাশা গুহ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'চেয়ারম্যান প্রার্থী হারিসুর রহমান নিজেও হামলায় অংশ নেন। আহতদের যেন বরিশাল না নেওয়া যায়, সেজন্য অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস বন্ধ করে দেওয়া হয়।'

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বাটাজোর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রব হাওলাদার ডেইলি স্টারকে বলেন, 'শুনেছি আমার ভাইয়ের সমর্থকদের সঙ্গে পিকলু চেয়ারম্যানের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়েছে। পিকলু চেয়ারম্যান আহত হয়েছেন, আমার ভাইও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।'
 
তবে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আহতদের শরীরে কোনো গুলির চিহ্ন পাওয়া যায়নি। কুপিয়ে আহত হওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে।'

ওসি মাজহারুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'উপজেলা নির্বাচনের এক প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলায় ইউপি চেয়ারম্যান পিকলু গুরুতর আহত হয়েছে। বাটাজোর চেয়ারম্যানের ভাইয়ের নেতৃত্বে এ হামলা হয়েছে।' 

Comments

The Daily Star  | English

The life cycles of household brands

For many, these products are inseparable from personal memory

14h ago