‘খাড়িয়া ভাষায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করলে ভাষাটি রক্ষা করা সম্ভব’

‘খাড়িয়া’ ভাষায় কথা বলা দুই বোন ভেরোনিকা কেরকেটা ও খ্রিস্টিনা কেরকেটার সঙ্গে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

'খাড়িয়া' ভাষাটি পুরোপুরি জানেন মাত্র দুজন। এই দুই বোন ভেরোনিকা কেরকেটা ও খ্রিস্টিনা কেরকেটার বাস মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার বর্মাছড়া বস্তিতে। সত্তোরোর্ধ্ব ও অশীতিপর এই দুই বোন মারা গেলে 'খাড়িয়া' ভাষাটিরও মৃত্যু ঘটবে। 

তবে 'খাড়িয়া' ভাষায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুললে ভাষাটি রক্ষা করা সম্ভব হবে বলে মনে করে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

আজ শুক্রবার সকালে মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলায় খাড়িয়া ভাষাভাষী দুই বোনের সঙ্গে দেখা করেন প্রধান বিচারপতি।

পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, 'খাড়িয়া ভাষাটা টিকিয়ে রাখার জন্য ভারতে যেসব অঞ্চলে এই ভাষার প্রচলন আছে, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সেখান থেকে বর্ণমালা এনে এখানে ওই ভাষায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করলে ভাষাটি রক্ষা করা সম্ভব।'

প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, 'বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর নিজস্ব ভাষা আছে। আমাদের ভাষা বাংলা সবার জন্য প্রযোজ্য। তবে যার যেটা ভাষা আছে সেটাকে টিকিয়ে রাখার জন্য সরকারের মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট আছে। এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মাতৃভাষা টিকিয়ে রাখার প্রচেষ্টা আছে সরকারের।'

এ সময় 'খাড়িয়া' ভাষা রক্ষায় স্থানীয়দের বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

তিনি বলেন, 'আমি যখন জানলাম বাংলাদেশে মাত্র দুজন নারী খাড়িয়া ভাষায় কথা বলতে পারেন, আর কেউ পারেন না, সেজন্য এখানে আসা হয়েছে। সরকারের উদ্যোগ নিতে হবে যেন এই ভাষাকে ধরে রাখা যায়।'

'আমি এখানে এসে যে বইগুলো দেখলাম তাতে মনে হয়েছে কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে আরও একটু বেশি করে নিতে হবে। আমি সরকারকে অনুরোধ করব। আমি নিজেও চেষ্টা করব,' বলেন তিনি।

এসময় অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন, মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক উর্মি বিনতে সালাম, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আল-মাহমুদ ফায়জুল কবির, জেলা পুলিশ সুপার মো. মনজুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh, Pakistan, China launch trilateral cooperation mechanism

A working group will be formed to follow up on and implement the understandings reached during the meeting

1h ago