‘আজকের মুহূর্তের জন্যই সারাটাক্ষণ অপেক্ষা করছিলাম’

ছেলে ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার তানভীর আহমদের প্রিয় সব খাবার রান্না করেছেন মা জোৎস্না বেগম।
চট্টগ্রাম বন্দরে মায়ের সঙ্গে এমভি আব্দুল্লাহর ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার তানভীর আহমদ। ছবি: দ্বৈপায়ন বড়ুয়া/স্টার

এমভি আব্দুল্লাহর ২৩ নাবিক চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছেন। তাদের স্বাগত জানাতে বন্দরে ছিলেন বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, চট্টগ্রামের সিটি মেয়র, কেএসআরএমের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং নাবিকদের স্বজনরা।

জাহাজের ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার তানভীর আহমদকে নিতে বন্দরে এসেছেন তার মা জোৎস্না বেগমসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।

বন্দরনগরীর আগ্রাবাদে তাদের বাসা। ছেলের অপেক্ষায় দীর্ঘ দুই মাস কেটেছে দুঃস্বপ্নে। অবশেষে আজ বিকেলে ছেলেকে পেয়ে বুকে জড়িয়ে ধরলেন মা। 

তানভীরের জন্য পছন্দের সব খাবার রান্না করে এনেছেন মা। মাকে জড়িয়ে ধরে নাবিক ছেলে যেন নতুন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। 

নাবিক তানভীর আহমদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'জিম্মিদশায় থাকা অবস্থায় ৩৩ দিন মনে হচ্ছিল বছরের বেশি। কবে ফিরব বুঝতে পারছিলাম না। মনে হচ্ছিল আরও দীর্ঘ হবে। একটু আশা দেখি, আবার নিভে যায়। আজকের মুহূর্তের জন্যই সারাটাক্ষণ অপেক্ষা করছিলাম।' 

তানভীরের মা জোৎস্না বেগম বলেন, 'আমাদের দীর্ঘ প্রতীক্ষা আজ শেষ হলো। অনেক ভালো লাগছে ছেলেকে ফিরে পেয়ে। এটা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।'

'ছেলের জন্য এতদিন অপেক্ষা করেছি। আজ ছেলেকে নিতে এসেছি। ছেলে যা যা পছন্দ করেছে সব রান্না করে এনেছি,' বলেন তিনি। 

আজ মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে নাবিকরা এমভি আব্দুল্লাহর মালিক প্রতিষ্ঠান কেএসআরএমের লাইটার জাহাজ জাহান মণি-৩ তে করে বন্দরে পৌঁছান।

নাবিকদের চট্টগ্রাম পৌঁছানো উপলক্ষে বন্দরে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

গতকাল সন্ধ্যায় কুতুবদিয়ায় নোঙ্গর করে এমভি আব্দুল্লাহ। ২৩ নাবিককে নিয়ে লাইটার জাহাজটি আজ সকাল ১১টার দিকে কুতুবদিয়া থেকে রওনা হয়।

Comments