জেনারেল আজিজের নিষেধাজ্ঞা মার্কিন ভিসা নী‌তির অধীনে নয়, অন্য আইনে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

জেনারেল আজিজের নিষেধাজ্ঞা মার্কিন ভিসা নী‌তির অধীনে নয়, অন্য আইনে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নী‌তির অধীনে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়নি বলে জা‌নিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর সেগুন বাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আয়োজিত মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

গত রাতে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে প্রথম প্রকাশ্যে বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধানকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। বিষয়টি আপনারা কীভাবে দেখছেন এবং এ রকম আরও নিষেধাজ্ঞার শঙ্কা আপনারা করছেন কি না জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নীতি যেটি ঘোষণা করেছিল, সেটি থ্রি সি ভিসা পলিসি ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনালিটি অ্যাক্টের আওতায়। আর জেনারেল আজিজের বিরুদ্ধে যে ভিসা রেসট্রিকশন দেওয়া হয়েছে, সেটি ফরেন অপারেশন অ্যান্ড রিলেটেড প্রোগ্রামস অ্যাপ্রোপ্রিয়েশন অ্যাক্টের অধীনে।

'অর্থাৎ যে ভিসা নীতি ঘোষণা করা হয়েছিল সেটির অধীনে তাকে ভিসা রেসট্রিকশন দেওয়া হয়নি। অন্য অ্যাক্টের অধীনে তাকে ভিসা রেসট্রিকশন দেওয়া হয়েছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। আপনারা দেখেছেন, আওয়ামী লীগের অনেক সংসদ সদস্য দুর্নীতির দায়ে জেলে গেছে। সরকারি দলের অনেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। দুর্নীতি মোকাবিলা এবং আরও অন্যান্য বিষয়ে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একযোগে কাজ করছি,' বলেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ মিশনকে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আগে জানানো হয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'আমরা মনে করি যে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমরা আলোচনার মধ্যে আছি।'

আমরা নির্বাচনে আগে দেখেছি যে, আমেরিকা ভিসা নীতি ঘোষণা করে। আওয়ামী লীগ থেকে সব সময় বলা হয়েছে, আমেরিকার ভিসা নীতি একটি ভুয়া নীতি। কারণ এখানে বিরোধী দল যেভাবে আন্দোলন-জ্বালাওপোড়াও করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ভিসা নীতি প্রয়োগ করা হয়নি। এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক যে ভিসা নীতি ঘোষণা করা হয়েছে, সেটি কারও ওপর প্রয়োগ করা হয়েছে বলে এখনো আমার জানা নেই। জেনারেল আজিজের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থাটা নেওয়া হয়েছে সেটি অন্য অ্যাক্টের অধীনে করা হয়েছে।'

তিনি বলেন, 'গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য যদি ভিসা নীতি প্রয়োগ করা হয় তাহলে যারা গণতন্ত্রকে সত্যিকার অর্থে বাধাগ্রস্ত করছে, পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা করছে, হাসপাতালে হামলা চালাচ্ছে এবং প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা চালাচ্ছে, গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করছে, মানুষ পুড়িয়েছে—নির্বাচন ভণ্ডুল করার লক্ষ্যে; তাদের ওপর সেটি প্রয়োগ করা প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি।'

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্র যদি জিএসপি সুবিধা নতুন করে চালু করে এবং শ্রম অধিকার নিয়ে আমরা যে কাজ করছি; সেটিকে উন্নত করার জন্য, হালনাগাদ করার জন্য, তাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী করার জন্য সে ক্ষেত্রে তারা আমাদের জিএসপি সুবিধা ফিরিয়ে দিতে চায়।'

Comments

The Daily Star  | English
chief adviser yunus confirms election date

Election in February

Chief Adviser Prof Muhammad Yunus last night announced that the general election will be held before Ramadan in February 2026, kickstarting the process of handing over the power to an elected government.

4h ago