আন্দোলনের সময় কে, কেন ইন্টারনেট বন্ধ করেছিল তদন্ত চলছে: নাহিদ ইসলাম

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব একেএম আমিরুল ইসলামকে তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে।
নাহিদ ইসলাম। ছবি: স্টার

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে গত জুলাইয়ে ইন্টারনেট বন্ধের ঘটনা তদন্তে ৭ সদস্যের কমিটি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের নির্দেশে আজ রোববার এ কমিটি করা হয়েছে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব একেএম আমিরুল ইসলামকে কমিটির প্রধান করা হয়েছে।

আজ রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নাহিদ ইসলাম বলেন, 'আন্দোলনের সময় ইন্টারনেট বন্ধের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সে সময় কেন ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছিল এবং কার নির্দেশে এ কাজ করা হয়েছিল তার তদন্ত শুরু হচ্ছে। দায়ীদের শাস্তি পেতে হবে।'

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সহিংসতার মধ্যে গত ১৭ জুলাই মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দিয়েছিল সরকার। পরদিন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটও বন্ধ করে দেওয়া হয়।

পরে ২৮ জুলাই মোবাইল ইন্টারনেট চালু হয় এবং ৩১ জুলাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম চালু হয়।

সে সময় তৎকালীন আইসিটি ও টেলিকম প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছিলেন, মহাখালীর ডাটা সেন্টারে আগুন লাগার কারণে ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে গেছে।

পরে আবার ৫ আগস্ট কয়েক ঘণ্টার জন্য মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড উভয় ইন্টারনেট সেবাই বন্ধ করে দেওয়া হয়। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলে দুপুর ২টার পর ইন্টারনেট পুরোপুরি চালু হয়।

 

Comments