‘মার্চ টু ঢাকা’য় গিয়ে গুলিতে নিহত আল মামুনের মরদেহ ৯ দিন পর শনাক্ত

বৃহস্পতিবার রাতে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় নবাব সলিমউল্লাহ সড়কে আল মামুনের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। ইনসেটে আল মামুন। ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জ থেকে গত ৫ আগস্ট 'মার্চ টু ঢাকা'য় অংশ নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হন নারায়ণগঞ্জের সাবেক ছাত্রদল নেতা আল মামুন।

১৪ আগস্ট ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে তার মরদেহটি শনাক্ত করেন পরিবারের সদস্যরা।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বরাতে পরিবারের সদস্যরা জানান, গত ৫ আগস্ট আল মামুনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।

আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে বৃহস্পতিবার রাতে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় নবাব সলিমউল্লাহ সড়কে আল মামুনের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

জানাজায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এবং অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং সারজিস আলম অংশ নেন।

আল মামুনের পরিবারের সদস্যরা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, ফতুল্লার জালকুড়ি এলাকার বাসিন্দা আল মামুন আমানত (৪১) নারায়ণগঞ্জ কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। গত ৫ আগস্ট বাসায় না জানিয়ে তিনি 'মার্চ টু ঢাকা' কর্মসূচিতে যান। সেদিন বিকেল থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।

নিহতের স্ত্রী হাসিনা মমতাজ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গত ৫ তারিখ গুলিবিদ্ধ হন আল মামুন। তার শরীরে আরও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছে, ওইদিন মৃত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।'

নিহত আল মামুন একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন বলে জানান পরিবারের সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার তার জানাজার আগে শহীদ মিনারে আসিফ মাহমুদ বলেন, 'আন্দোলনে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া কিংবা যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ এলাকায় মানুষের যে অংশগ্রহণ, জনস্রোত ছিল, তা আমাদের বিজয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে গেছে। ভাইয়ের শূন্যস্থান পূরণের মতো সামর্থ্য আমাদের কারও নেই। ছাত্র-জনতা নিহতের পরিবারের সাথে আছে।'

জানাজায় আরও অংশ নেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আমীর খসরু, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জের নেতৃবৃন্দ।

Comments

The Daily Star  | English

Under pressure, UK govt unveils flagship immigration plans

People will have to live in the UK for 10 years before qualifying for settlement and citizenship

46m ago