কিডনি প্রতিস্থাপন চক্র: দিল্লি পুলিশের চার্জশিটে ৩ বাংলাদেশির নাম

মানবদেহে কিডনির অবস্থান। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি উন্মোচিত একটি কিডনি প্রতিস্থাপন চক্রের বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশের দেওয়া চার্জশিটে তিন বাংলাদেশির নাম উল্লেখ রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউশন কর্মকর্তারা।

তারা হলেন, রাসেল, মুহাম্মদ সুমন মিয়া ও মোহাম্মদ রোকন ওরফে রাহুল সরকার ওরফে বিজয় মণ্ডল।

এই চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গত জুলাইয়ে ৫০ বছর বয়সী দিল্লি-ভিত্তিক এক নারী চিকিৎসক ও তিন বাংলাদেশিসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করে দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ।

প্রসিকিউশন কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার জানান, গত সপ্তাহে সিটি কোর্টে দাখিল করা সাত হাজার ১১২ পৃষ্ঠার চার্জশিটে ১০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

পুলিশের ভাষ্য, জয়া রাজাকুমারী নামের ওই চিকিৎসক দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লির ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপোলো হাসপাতালে কিডনি প্রতিস্থাপন সার্জন হিসেবে কর্মরত ছিলেন এবং ২০২১-২০২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া প্রায় ১৫ জনের কিডনি প্রতিস্থাপনের ঘটনায় তিনি জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, রাজাকুমারী নয়ডার ইয়াথার্থ হাসপাতালে এই অস্ত্রোপচারগুলো পরিচালনা করেন, যেখানে তিনি ভিজিটিং কনসালটেন্ট ছিলেন। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে তার সহকারী বিক্রম সিংও রয়েছেন।

তদন্তের সময় অভিযুক্তদের কাছ থেকে ২৩টি স্ট্যাম্প, রোগী এবং কিডনি দাতাদের জাল ফাইল ও জাল আধার কার্ড উদ্ধার করেছে পুলিশ।

একজন পুলিশ কর্মকর্তা রাসেলকে শনাক্ত করেন, যিনি ২০১৯ সালে ভারতে গিয়েছিলেন এবং এই চক্রের সহায়তায় বাংলাদেশি এক রোগীকে নিজের কিডনি দান করেছিলেন।

প্রসিকিউশন কর্মকর্তারা জানান, নিজের অস্ত্রোপচার সম্পন্নের পর রাসেল এই চক্র তৈরির কাজ শুরু করেন। তিনি বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে সমন্বয় এবং বাংলাদেশের সম্ভাব্য কিডনি দাতা ও এখানকার রোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতেন।

বাংলাদেশে অবস্থানরত ইফতি নামের একজন তাকে এই কাজে সহযোগিতা করে আসছিল বলেও জানান প্রসিকিউশন কর্মকর্তারা।

Comments

The Daily Star  | English

JnU students vow to stay on streets until demands met

Jagannath University (JnU) students tonight declared that they would not leave the streets until their three-point demand is fulfilled

1h ago