ছাত্র আন্দোলনে নিহত সাজ্জাদের মরদেহ ৪৪ দিন পর কবর থেকে উত্তোলন

ময়নাতদন্তের জন্য সোমবার দুপুরে সাজ্জাদের মরদেহ উত্তোলন করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই নিহত সাজ্জাদ হোসেনের (২৭) মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।

নিহত হওয়ার ৪৪ দিন পর আজ সোমবার দুপুরে নগরীর শালবন মিস্ত্রীপাড়া কবরস্থান থেকে তার মরদেহ উত্তোলন করা হয়। এর আগে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার মরদেহ দাফন করা হয়।

জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এটিএম আরিফ হোসেনের উপস্থিতিতে সাজ্জাদের মরদেহ উত্তোলনের পর ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

সেই সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খালেদ হোসেনসহ পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি দল উপস্থিত ছিলেন।

মরদেহ উত্তোলনের বিষয়টি নিশ্চিত করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এটিএম আরিফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, আদালতের নির্দেশে সাজ্জাদ হোসেনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনের পর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। পরে মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষ করে আবারও দাফন করা হয়েছে।

গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে নগরীর সিটি বাজার সংলগ্ন রাজা রাম মোহন মার্কেটের সামনে গুলিতে নিহত হন সাজ্জাদ হোসেন। এ ঘটনায় গত ২০ আগস্ট সাজ্জাদ হোসেনের স্ত্রী জিতু বেগম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার বোন শেখ রেহানা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, সাংবাদিক সুভাষ সিংহ রায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব নাঈমুল ইসলাম খান, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত এবং মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী অপু উকিলকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া ৫১ জন নামীয় ও অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ৩০০ জনকে।

নামীয় অন্য আসামিদের মধ্যে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো) মো. মনিরুজ্জামানসহ পুলিশ কর্মকর্তা, আইনজীবী, সাবেক জনপ্রতিনিধি, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা রয়েছেন।

মামলার আবেদনে বলা হয়, নিহত সাজ্জাদ হোসেন একজন ব্যবসায়ী। গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রংপুর নগরীর রাজা রাম মোহন মার্কেটের সামনে এক থেকে ১০ নম্বর আসামির নির্দেশে অন্য নামীয় ও অজ্ঞাত আসামিদের সঙ্গে ছাত্র-জনতার সংঘর্ষ হয়। সেই সময় সাজ্জাদ হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। পরে তার মরদেহ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়ার পথে আসামিদের বাঁধার মুখে পড়েন বাদী। পরে বাধ্য হয়ে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার মরদেহ দাফন করা হয়।

Comments

The Daily Star  | English

22 sectors still pay wages below poverty line

At least 22 sectors in Bangladesh continue to pay their workers much less than what is needed to meet basic human needs.

10h ago