আজ পদত্যাগ করতে পারেন সিইসি ও ৪ ইসি

সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল এবং নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান, বেগম রাশিদা সুলতানা, মো. আলমগীর ও মো. আনিসুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং চার নির্বাচন কমিশনারের আজ পদত্যাগ করার সম্ভাবনা রয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল এবং নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান, বেগম রাশিদা সুলতানা, মো. আলমগীর ও মো. আনিসুর রহমান আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাচন সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগের ঘোষণা দিতে পারেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিইসি গতকাল দুপুরে সাংবাদিকদের বলেন, এটা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলব।

সিইসির এ মন্তব্যের কয়েক মিনিট পর নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ বিভাগ গণমাধ্যমকে জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে কমিশন গণমাধ্যমের সঙ্গে 'শুভেচ্ছা বিনিময়' করবে।

নির্বাচন কমিশনের অন্তত দুই শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সিইসি ও চার ইসি পদত্যাগের পর নির্বাচন কমিশন সচিবালয়কে তাদের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে পাঠাতে বলবেন।

৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের ঠিক এক মাস পর নির্বাচন কমিশনাররা পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান। গত ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি দ্বাদশ সংসদ ভেঙে দেন।

নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভেঙে দেওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থাকায় নির্বাচন কমিশনাররা পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

একজন নির্বাচন কমিশনার নাম প্রকাশ না করার শর্তে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা মনে করি না যে বর্তমান পরিস্থিতি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য উপযুক্ত।'

তিনি বলেন, 'শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দ্বাদশ সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। কিন্তু সংবিধান স্থগিত করা হয়নি। এই নির্বাচন কমিশন যদি থাকে, তাহলে ভবিষ্যতে সংবিধান লঙ্ঘনের দায়ে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হতে পারে।'

নির্বাচন কমিশনের শীর্ষ কর্মকর্তারা বলেছেন, হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই নির্বাচন কমিশনাররা পদত্যাগের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলেন। তারা বোঝার চেষ্টা করছিলেন, নিজেরাই পদত্যাগ করবেন, নাকি এ ব্যাপারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অন্য কোনো পরিকল্পনা আছে। কমিশন পরামর্শের জন্য সরকারের উচ্চপদস্থদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তা সফল হয়নি।

কাজী হাবিবুল আওয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন ২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের জন্য কার্যভার গ্রহণ করে।

আওয়ামী লীগ শাসনামলে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল নির্বাচন কমিশন। বর্তমান নির্বাচন কমিশন গত জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সমালোচিত হয়েছে। সেই নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক দেখাতে ডামি স্বতন্ত্র প্রার্থী দিতে হয়েছিল আওয়ামী লীগকে।

পূর্ববর্তী নির্বাচন কমিশনও ব্যাপকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সমালোচিত হয়েছিল। তার আগে একটি জাতীয় নির্বাচনে ১৫৩ জন সংসদ সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।

Comments

The Daily Star  | English

Mahfuj Alam apologises for past 'divisive' statements

"The patriotic people who stood united during the July uprising now face a long test"

1h ago