বায়তুল মোকাররমে দুই পক্ষের মারামারিতে আহত অন্তত ৬
বায়তুল মোকাররম মসজিদে আজ শুক্রবার জুমার নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের মধ্যে মারামরির ঘটনা ঘটেছে।
দুপুর ১টার দিকে মসজিদের ভেতরে হঠাৎ মুসল্লিদের দুই পক্ষের মধ্যে মারামরি শুরু হয়।
মারামারিতে অন্তত ৬ জন আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক মাসুদ আলম দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, দুপুরে মসজিদে মারমারিতে কয়েকজন আহত হয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন। সবাই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন।
আহতরা হলেন-মোস্তাইন বিল্লাহ (১৭), লিমন (১৩), এনামুল হাসান (১৬), শাকিল (২১), ফেরদৌস (২২) ও হাবিবুর (২০)।
আহত নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার একটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী এনামুল হাসান ডেইলি স্টারকে জানান, তারা তিনজন জুমার নামাজ পড়তে বায়তুল মোকাররমে এসেছিলেন। তিনজনই বারান্দার দিকে ছিলেন। হঠাৎ ভেতরে মারামারি শুরু হয়। সেখান থেকে কাঁচের টুকরা এসে তার হাতে লাগে।
জানা গেছে, বায়তুল মোকাররমের বর্তমান ও সাবেক খতিবের অনুসারীদের মধ্যে এ মারামারির ঘটনা ঘটে। সাবেক খতিব রুহুল আমিন গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে অনুপস্থিত থাকলেও তিনি আজ মসজিদে উপস্থিত হন। পরে খুতবা পড়ানো নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হয়।
জানতে চাইলে পল্টন থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুজ্জামান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বায়তুল মোকাররমে দুই পক্ষের মারামারির বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। বিস্তারিত এখনো পুরোপুরি জানতে পারিনি।'
যোগাযোগ করা হলে অতিরিক্ত উপকমিশনার (মতিঝিল জোনো রেজওয়ানুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'যতটুকু জেনেছি বায়তুল মোকাররম মসজিদের ভেতরে সাবেক খতিব ও বর্তমান ইমামের অনুসারীদের মধ্যে মারামারি হয়েছে। শুনেছি আগের খতিব দীর্ঘদিন অনুপস্থিত ছিলেন। আজ তিনি জুমার নামাজ পড়াতে এলে তার বিরোধিতা করে আরেকটি পক্ষ। সেখান থেকে হাতাহাতি-মারামারির সূত্রপাত।'
ঘটনার পর বায়তুল মোকাররম এলাকায় পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনীর তিনটি টিম গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে বলে পুলিশের সূত্র জানিয়েছে।
Comments