হাসিনার দালালদের উৎখাত, খুনিদের বিচার করে নির্বাচনের দিকে এগোতে হবে: উপদেষ্টা মাহফুজ

অনুষ্ঠানে কথা বলছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। ছবি: সংগৃহীত

'এক-এগারো চাই না, এটা নিয়ে মিছে ভয় পাওয়ার কিছু নেই' বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে সেনাশাসন আসার কোনো প্রেক্ষিত নেই। আমরা এবার কোনো রাষ্ট্রের মদদে হাসিনাকে উৎখাত করিনি। আমরা ছাত্র-জনতা রক্ত দিয়ে হাসিনাকে উৎখাত করেছি। আমাদের কারও তাবেদারি করার আর দরকার নেই। হাসিনার তাবেদারি করার যে প্রক্রিয়া, সেটিকে নস্যাৎ করে দিয়ে নিজেদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা এনেছি। আমরা কারো কাছে আর মাথা নত করব না।'

আজ শনিবার বিকেলে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ সরকারি কলেজে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে মাহফুজ আলম বলেন, আসুন বাংলাদেশ-পন্থার মধ্য দিয়ে আমরা যারা ফ্যাসিবাদ-বিরোধী শক্তি আছি, ঐক্যবদ্ধ হই। সংস্কারগুলো করার জন্য সরকারকে সহযোগিতা করুন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আবারও যদি দিল্লির কোলে আশ্রয় নিয়ে আমাদের দিকে চোখ রাঙাতে চায়, আমরা বসে থাকব না। শহীদদের পথ অনুসরণ করে আমরা শাহাদাতের পথ বেছে নেব। আমরা আবার লড়াই করব। আমরা শুধুমাত্র আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট শাসন-ব্যবস্থা উৎখাত করে সন্তুষ্ট নই, বরং আওয়ামী লীগ ফ্যাসিজমের যত বৈশিষ্ট্য বিভিন্ন প্রান্তে, প্রশাসনে, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে রয়ে গেছে, তাদেরকেও আমরা বিচারের আওতায় আনব।

এই উপদেষ্টা আরও বলেন, অনেকগুলো কমিশন সংস্কারের প্রস্তাবনা প্রস্তুত করেছে। খুব শিগগিরই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্যের ভিত্তিতে যে সংস্কার না করলেই নয়, নির্বাচনের পূর্বে সেসব সংস্কার করতে চাই। এই সংস্কারগুলো মুখের বুলি নয়। শেখ হাসিনা যে প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে দিয়েছেন, যে প্রতিষ্ঠানগুলো হাসিনাকে টিকিয়ে রেখেছে, সেই প্রতিষ্ঠানগুলোকে একই রকম রেখে আমরা নির্বাচন করতে পারি না। নির্বাচন করার আগে অবশ্যই হাসিনার ওই প্রতিষ্ঠান ও দালালরা আছে, তাদেরকে উৎখাত করে এবং খুনিদের বিচার করে আমাদের নির্বাচনের দিকে এগোতে হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Can Bangladesh ride out the wave of US tariffs?

Trump's announcement sent businesses scrambling. Orders froze. Buyers demanded discounts. Stock markets plummeted.

11h ago