‘নতুন বইয়ের ঘ্রাণে মন ভরে উঠছে, কাজ করে ক্লান্ত হলেও উদ্যম হারাচ্ছি না’

স্টলগুলোর প্রস্তুতি তুঙ্গে। দোকানিরা বই সাজাতে ব্যস্ত। ছবি: প্রবীর দাশ/স্টার

'জুলাই গণ–অভ্যুত্থান: নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ' প্রতিপাদ্য নিয়ে আগামীকাল শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে মাসব্যাপী অমর একুশে বইমেলা। এবারের মেলার উদ্বোধন করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বইমেলায় অংশ নেবে মোট ৭০৮টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান।

মেলার আগের দিনে প্রকাশক, লেখক, বিক্রেতা, পাঠক— সবার মধ্যেই অন্যরকম এক উত্তেজনা কাজ করছে।

স্টলগুলোর প্রস্তুতি তুঙ্গে। দোকানিরা বই সাজাতে ব্যস্ত। কেউ স্টলে শেষ মুহূর্তে রঙের কাজ সারছেন। একপাশে বইয়ের মোড়ক খোলা হচ্ছে, অন্যদিকে তালিকা মিলিয়ে তাকে সাজানো হচ্ছে বই। চোখে-মুখে সবার ক্লান্তির ছাপ, তবে উৎসাহের কমতি নেই।

ছবি: প্রবীর দাশ/স্টার

সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণের একটি স্টলে বই সাজাতে ব্যস্ত হাসিবুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নতুন বইয়ের ঘ্রাণে মর ভরে উঠছে। কাজ করে ক্লান্ত হচ্ছি, তবে উদ্যম হারাচ্ছি না। শেষ মুহূর্তের এই ব্যস্ততা আমাদের মধ্যে অনন্য এক অনুভূতি বয়ে আনে।'

ছবি: প্রবীর দাশ/স্টার

নতুন বই, নতুন স্বপ্ন আর ভাষার প্রতি ভালোবাসা নিয়ে প্রস্তুত হয়ে উঠছে বইমেলা। কাল থেকেই নামবে পাঠকের ঢল, তাদের চোখে ভেসে উঠবে অগণিত বইয়ের পৃষ্ঠায় পৃষ্ঠায় ছড়িয়ে থাকা অসাধারণ সব গল্প।

ছবি: প্রবীর দাশ/স্টার

গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব সরকার আমিন জানান, মেট্রোরেলের কারণে এবারের বইমেলায় প্রবেশ ও বাহির পথে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে।

তিনি বলেন, 'মেলায় চারটি প্রবেশপথ থাকবে টিএসসি, দোয়েল চত্বর, এমআরটি বেসিং প্ল্যান্ট এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের দিক দিয়ে। খাবারের স্টলগুলো থাকছে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের দিকে। শিশুদের জন্য এবারও থাকছে আলাদা 'শিশু চত্বর', যেখানে তারা অবাধ ঘুরতে এবং বই সংগ্রহ করতে পারবে।'

ছবি: প্রবীর দাশ/স্টার

এবারের বইমেলায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ৯৯টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৬০৯টি মিলিয়ে মোট ৭০৮টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে। 
মোট প্যাভিলিয়ন থাকবে ৩৭টি। এর মধ্যে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে একটি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৩৬টি থাকবে।

বইমেলা
বইমেলা প্রাঙ্গণে শেষবেলার প্রস্তুতি চলছে। ছবি: প্রবীর দাশ/স্টার

অমর একুশে বইমেলায় লিটল ম্যাগাজিন চত্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্মুক্ত মঞ্চের কাছাকাছি গাছতলায়। সেখানে প্রায় ১৩০টি লিটলম্যাগকে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এবারের মেলায় শিশুচত্বরে মোট ৭৪টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে মেলায় 'মব' প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম বলেন, 'প্রস্তুতিতে পিছিয়ে পড়ার কোনো চিহ্ন দেখি না। মব নিয়ে আশঙ্কা নেই তা নয়, তবে নিরাপত্তা ফোর্স সতর্ক থাকছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Can't afford another lost decade for education

Whenever the issue of education surfaces in Bangladesh, policymakers across the political spectrum tend to strike a familiar chord. "Education is our top priority," they harp

3h ago