এনআইডি সেবা স্থানান্তরের প্রতিবাদে আন্দোলনে ইসি কর্মীরা

এনআইডি সেবা নিজেদের হাতে রাখতে আন্দোলনে নেমেছেন নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ছবি: স্টার

জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

অন্তর্বর্তী সরকার এনআইডি ও জন্ম নিবন্ধনসহ নাগরিক নিবন্ধন সেবা তদারকির জন্য 'সিভিল রেজিস্ট্রেশন কমিশন' নামে একটি নতুন স্বাধীন সংস্থা প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর প্রতিবাদে আজ দুপুরে তারা রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইসি কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন।

দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ইসির এনআইডি শাখার কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে আন্দোলন শুরু হয়। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরাও তাদের সঙ্গে যোগ দেন।

পরে তারা দাবি আদায়ের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন।

দুপুর ১টার দিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) আন্দোলনকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, 'সরকার থেকে এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না, যা সামনের জাতীয় নির্বাচনে ব্যাঘাত সৃষ্টি করতে পারে। শিগগিরই ইসি থেকে সরকারকে চিঠি পাঠাব।'

সিইসি আরও বলেন, 'আমি নির্বাচন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের সঙ্গে বসেছি এবং আলোচনা হয়েছে। নতুন কমিশন সম্পর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে আমি শুনিনি। এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি; বিষয়টি আলোচনাধীন রয়েছে।'

সিইসি আরও বলেন, 'আমি নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিত্ব করি এবং এর অবস্থান সরকারকে উপস্থাপন করতে পারি। আমি আপনাদের দাবিগুলো সরকারের কাছে জোরালোভাবে তুলে ধরব।'

এনআইডি শাখার কর্মকর্তারা জানান, এনআইডি সেবা ইসি থেকে স্থানান্তরের পরিকল্পনা ঠেকাতে তারা আন্দোলনে নেমেছেন। দাবি না মানা হলে প্রথমে অর্ধদিবস কর্মবিরতি, এরপর পূর্ণদিবস ধর্মঘট করা হবে বলেও হুঁশিয়ার করেন তারা।

তাতেও দাবি আদায় না হলে সারা দেশে নির্বাচন কমিশনের সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেন তারা।

নির্বাচন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মোহাম্মদ মতিউর রহমান জানান, ২০২৩ সালের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন ১২ মার্চের মধ্যে বাতিল করতে হবে। এই বিষয়ে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হলে ১৩ মার্চ সকাল ১১টায় ইসি সচিবালয়, ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন শাখা, নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট এবং দেশের সব মাঠ পর্যায়ের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করা হবে।

Comments

The Daily Star  | English
National election

Political parties must support the election drive

The election in February 2026 is among the most important challenges that we are going to face.

11h ago