গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় রাজনৈতিক দল, জোট ছাড় দেবে আশা করি: আলী রীয়াজ

আলী রীয়াজ। ফাইল ছবি: সংগৃহীত

রাষ্ট্র পুনর্গঠন এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় রাজনৈতিক দল ও জোটগুলো নিজ নিজ অবস্থান থেকে ছাড় দেবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

আজ শনিবার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের আলোচনার শুরুতে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়।

এ সময় কমিশনের সদস্য হিসেবে ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, জাতীয় স্বার্থে, রাষ্ট্র বিনির্মাণের বিষয়ে এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় প্রতিটি দল ও জোট কিছুটা ছাড় দিতে প্রস্তুত থাকবেন। আমরা সবাই এই প্রচেষ্টায় সমবেত হয়েছি।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা জাতি ও রাষ্ট্রের অগ্রসর হওয়ার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় দাবি করে তিনি আরও বলেন, আমাদের এক জায়গায় আসতে হবে। তার অর্থ এই নয় যে আমরা সব বিষয়ে একমত হতে পারব। কিন্তু যেসব বিষয় রাষ্ট্র বিনির্মাণে, পুনর্গঠন ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা তৈরির জন্য প্রয়োজন, সেখানে আশা করি একমত হতে পারব।

আলোচনায় জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের প্রতিনিধিদলে ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমান, এ টি এম গোলাম মাওলা চৌধুরী, ডা. সৈয়দ নজরুল ইসলাম, এম এন শাওন সাদিকী, কারী আবু তাহের প্রমুখ।

প্রথম পর্যায়ে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন ও দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লিখিত গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ওপর রাজনৈতিক দলের সুনির্দিষ্ট মতামত জানাতে অনুরোধ করে সুপারিশগুলোর স্প্রেডশিট আকারে ৩৯টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়। ইতোমধ্যে সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ৩৫টি দলের কাছ থেকে মতামত পেয়েছে। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি এ পর্যন্ত ২২টি রাজনৈতিক দল কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নিয়েছে।

আলোচনার শুরুতে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, গণতন্ত্র পুনপ্রতিষ্ঠায় আমাদের লক্ষ্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে একটি জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করা, এটি অর্জনের মাধ্যমে একটি জাতীয় সনদ তৈরি করা।

Comments

The Daily Star  | English

Public Service Act: Ordinance out amid Secretariat protests

The government last night issued an ordinance allowing dismissal of public servants for administrative disruptions within 14 days and without departmental proceedings.

8h ago