ওসমানী উদ্যানে 'জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ' নির্মাণ করবে সরকার

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্মরণে ঢাকার ওসমানী উদ্যানে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
ডিএসসিসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত বছর ১৯ নভেম্বর স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) উপদেষ্টা ওসমানী উদ্যান পরিদর্শনে এসে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের বিষয়ে সরকারের আগ্রহের কথা জানান। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব পেয়েছে ডিএসসিসি এবং এর সম্পূর্ণ ব্যয় সরকারি তহবিল থেকে বহন করা হবে।
স্মৃতিস্তম্ভের অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী, মূল স্থাপনা হবে ৯০ ফুট উঁচু একটি ব্রোঞ্জের স্তম্ভ। এটি একটি গোলাকার প্ল্যাটফর্মের উপর স্থাপিত হবে এবং এতে জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের নাম খোদাই করা থাকবে। স্তম্ভের গোড়া ঘিরে থাকবে অর্ধ-বৃত্তাকার ভাস্কর্য, যা ব্রিটিশ আমল, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ এবং ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলোকে ফুটিয়ে তুলবে।
উদ্যানে প্রবেশের মুখে নির্মিত হবে '২৪' সংখ্যার আদলে একটি ফটক, যা জুলাই অভ্যুত্থানকে স্মরণ করিয়ে দেবে। এছাড়া, এখানে হাঁটার পথ, শহীদদের নামের তালিকা সম্বলিত এপিটাফ এবং দৃষ্টিনন্দন বাগান থাকবে।

ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. জিল্লুর রহমান বলেছেন, 'ঢাকার বিভিন্ন পার্কে অনেক স্মৃতিস্তম্ভ থাকলেও ওসমানী উদ্যানে উল্লেখযোগ্য তেমন কিছু নেই। এজন্য আমরা এই স্থানটিকে বেছে নিয়েছি।'
তার ভাষ্য, সচিবালয়, নগর ভবনসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার কাছে হওয়ায় এই স্মৃতিস্তম্ভেইর জন্য ওসমানী উদ্যানই উপযুক্ত জায়গা।
ডিএসসিসি সূত্র জানায়, স্মৃতিস্তম্ভের নকশা চূড়ান্ত করা হয়েছে এবং দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। দরপত্র আগামী ১৮ মে খোলা হবে।
একজন কর্মকর্তা জানান, দরপত্র মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় প্রায় দুই সপ্তাহ সময় লাগবে এবং এরপর দ্রুতই নির্মাণ কাজ শুরু হবে। প্রকল্পটি ছয় মাসের মধ্যে, অর্থাৎ জুন থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, যদিও এর আগেও কাজ সম্পন্ন করার চেষ্টা থাকবে।
Comments