৯০তম জন্মদিনে শ্রদ্ধার্ঘ

বহুমাত্রিক জ্যোতির্ময় শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। স্কেচ: সজীব

বহু বছর আগে ঝিনাইদহ গেছি বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের কাজে। সারাদিন কাজ শেষে সতীর্থ স্থানীয় সংগঠক ও সংস্কৃতি কর্মী অধ্যাপক এহতেশামুল হকের উৎসাহে সন্ধ্যেতে এক অনুষ্ঠানে গেলাম। যতদূর মনে পড়ে কোনো নাট্যদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী জাতীয় অনুষ্ঠান। প্রধান অতিথি হিসেবে কথা বললেন ঢাকা থেকে আসা অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী স্যার।

অসাধারণ বক্তৃতা রাখলেন। লেখায় যেমন বলাতেও তেমন—সেই চিরায়ত শ্রেণী-সংগ্রাম আর সমাজতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষায় মোড়া সমাজ উত্তরণের আকুতিতে ভরা স্যারের কথায় সেই সন্ধ্যাটা জাদুকরি অনুভবে আনন্দময় হয়ে উঠেছিল।

কোনো গ্রামীণ পরিসরে নগর থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন এক সন্ধ্যায় ওভাবে স্যারের বক্তৃতা আগে কখনো শুনিনি। আরেকদিন ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী স্যারের ইংরেজি বক্তৃতা শুনেছিলাম। সেই বিকেলে দেওয়া স্যারের বক্তৃতার প্রতিটি ইংরেজি শব্দ আমার কানে অন্যরকম দ্যোতনা তুলে এখনো বাজে।

স্যারের সঙ্গে আমার প্রত্যক্ষ কথা ও দেখা হয় অনেক পরে, সাংবাদিকতা করতে এসে। বহুবার বহু প্রয়োজনে স্যারের সাক্ষাৎকার নিয়েছি, কথা বলেছি বহু প্রসঙ্গে। মানুষ হিসেবে স্যারের সারল্য আর বিনয় একদম হৃদয়ছোয়া।

আজ ২৩ জুন সিরাজ স্যার ৯০ বছরে পা রাখছেন। এই বয়সেও স্যার সমান সজীব, সক্রিয়। তার লেখা ও পত্রিকা সম্পাদনার কাজে এখনো অবিচল। চিরায়ত শিক্ষকের সব গুণাবলী অক্ষুণ্ণ রেখে এখনো গোটা জাতির সম্মান ও ভালোবাসার মানুষ হয়ে রয়েছেন। সারাদেশে যখন শিক্ষা ও শিক্ষকের মান তলায় ঠেকেছে, তখনও সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী একজন আদর্শ শিক্ষক হয়ে সমাজের সামনে আলোর দ্যুতি ছড়াচ্ছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই পড়িয়েছেন স্যার আজীবন। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে বহু শিক্ষক এসেছেন, গেছেন। কিন্তু তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌহদ্দি পেরিয়ে সারাদেশেই একজন সত্যিকার শিক্ষক হয়ে রইলেন। অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী রাজনীতিতে নির্দিষ্ট ধারার লোক। চিন্তার পদ্ধতিতে খুবই সুনির্দিষ্ট স্কুলিংয়ের প্রতিনিধিত্ব করেন। সমাজ বিপ্লবের ভাবনাতেও তার বিশেষ রাজনীতির প্রতি পক্ষপাতিত্ব আছে। তারপরও সবার ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার শিক্ষক হয়ে উঠলেন কীভাবে?

এই প্রশ্ন একবার করেছিলাম সাংবাদিক, শিক্ষক, গবেষক ও বর্তমানে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলী রীয়াজকে। সুদীর্ঘ উত্তর দিয়ে জানিয়েছিলেন, সিরাজ স্যারকে দেখেই তিনি শিক্ষকতা পেশায় এসেছেন। স্যারকে দেখেই শিক্ষকই হতে চেয়েছেন।

অধ্যাপক আলী রীয়াজের নিজের ভাষায়, 'ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীকে দেখেও আমি অনেক কিছু শিখেছি। আমার শিক্ষক হয়ে ওঠার কারণ কিন্তু তিনি। আমি যে শিক্ষকতার জগতে এসেছি সেটা কিন্তু অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীকে দেখে। এ কথাটা স্যারকে কোনোদিন বলা হয়নি।'

'যে বিশ্ববিদ্যালয়ের আমি ছাত্র, আমি জানি সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী স্যারের আদর্শিক অবস্থান, জানি তার রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি। কিন্তু আমি এটাও জানি, তার ক্লাসের ঘোরতরভাবে আওয়ামী লীগ বা ছাত্রলীগ করা একটা ছেলেও কোনোদিন বলতে পারেনি, তার রাজনৈতিক বিশ্বাসের কারণে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী স্যারের কাছে এক নম্বর কম পেয়েছে। স্যার তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পত্রিকা সম্পাদনা করেন। আরও অনেক কাজ করেন। কী-ইবা না করেন! কিন্তু কোনোদিন ক্লাস মিস করেননি।'

'একদিন আমি একটা রিকশা নিয়ে কলাভবন থেকে ভালো খাবারের সন্ধানে ঢাকা মেডিকেল কলেজের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের ক্যাফেটেরিয়াতে যাচ্ছি। তখন দুপুর দেড়টার সময় স্যার একটা ছাতা মাথায় দিয়ে তার বাসা থেকে হেঁটে ক্লাস করাতে আসছেন। তখনই স্যার আমাকে আসলে অনেক কিছুই শিখিয়ে ফেলেন। আমার মনের মধ্যে গভীরতর দাগ দিয়ে যান।'

'সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী আমাকে শিক্ষক হওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করেন এবং অলক্ষ্যে একটা মানদণ্ডও ঠিক করে দেন। তাকে দেখে আমার মধ্যে একটা ধারণা জন্মে যায় যে হ্যাঁ, আমি অনেক কিছু করব, কিন্তু কোনোটারই ব্যত্যয় ঘটবে না। কোনোদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পত্রিকার প্রকাশ কিন্তু অনিয়মিত হচ্ছে না। নিয়মিতভাবেই প্রকাশিত হচ্ছে। সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ওই পত্রিকায় নিজে লিখেছেন, বিচিত্রাতে একটা নিয়মিত কলাম লেখেন, অন্য পত্রিকার বিশেষ সংখ্যায় লিখছেন, প্রতি বছর-দেড় বছরে তার একটা বই বেরুচ্ছে, নিয়মিতভাবে ক্লাস করছেন। এসব নিয়ে কোনো ছাত্র অভিযোগ করছে না।'

'তার টিউটোরিয়াল ঠিকমতো হয়। স্যারের রুমে দু-একবার ঢুকতে গিয়ে দেখেছি, স্যার টিউটোরিয়ালের ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস নিচ্ছেন। আমাকে দেখেই এমনভাবে মাথা নাড়লেন, দেখেই বুঝেছি, এখন নয় পরে।'

'তিনি ডাকসুর ট্রেজারার, সেই সূত্রে আমি হয়ত কখনও উনার রুমে গিয়ে দরজা ভেজানো দেখে ভাবলাম একটু উঁকি দিয়ে দেখি, বুঝলাম যে স্যার টিউটোরিয়ালের ক্লাস নিচ্ছেন। সব কিছুর মধ্যে উনি ওনার নিজের কাজটা ঠিকমতোই করেন। টিউটোরিয়াল ক্লাস নিতে ওনার কখনও দেরি হয় না। স্যারের রুমের দরজায় টিউটোরিয়ালের শিডিউল লেখা আছে। সে অনুযায়ী ছাত্র-ছাত্রীরা যায় এবং আমরা যদি কোনো কাজে ভেতরে থাকি একপর্যায়ে স্যার মনে করিয়ে দেন, এখন আমার ক্লাস আছে। অন্য কোনো কাজে গেলাম, কথাবার্তা শেষ হওয়ার পর স্যার স্মরণ করিয়ে দিলেন যে, এখন আমার ক্লাস আছে। অন্য সময় আবার আসেন। এটাই হচ্ছে শিক্ষকতা।'

শুধু আলী রীয়াজ নন, তার আগের প্রজন্মেও সিরাজ স্যার দোলা দিয়েছেন, হৃদয়ে আঁচড় কেটেছেন তার শিক্ষার্থীদের। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ তার 'নিস্ফলা মাঠের কৃষক' নামের বইয়ে লিখেছেন, ''বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গনের যেসব অধ্যাপক আমাদের কালে চিন্তাজগতে আজীবন আমুন্ডুনখপদ ক্রিয়াশীল থেকেছেন, তরুণ সম্প্রদায় ও সাধারণ মানুষের সামনে সম্ভাবনার স্বপ্নকে সাধ্যমত উঁচু করে রেখেছেন,  দেশবাসীর অর্থনৈতিক অসঙ্গতির অশ্রুময় ব্যবধানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে ক্ষান্তিহীন থেকেছেন-সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ছিলেন এঁদের সামনের সারিতে। প্রসাদগুণসম্পন্ন রচনার ভেতর দিয়ে সমাজতন্ত্রের মূল প্রতিপাদ্যটিকে একালের অগোচর মানুষের কাছে প্রিয় ও পরিচিত রেখেছেন তিনি, সাহিত্য-অঙ্গনে উপহার দিয়েছেন অনেক অনিন্দ্য ও সুস্মিত রচনা। সবচেয়ে বড় কথা, যে-উদগ্রীব আকুতি নিয়ে সমাজতান্ত্রিক উত্তরণের পথে দেশের আপামর মানুষের মুক্তির প্রতীক্ষায় তিনি প্রজ্বলিত ছিলেন, আমাদের এই আত্মাহীন যুগে সেই সংশপ্তক প্রতীক্ষা খুব একটা সুলভ জিনিস নয়।'

২.

স্যার দু-হাতে লিখেছেন। সাহিত্য-সমাজ-সংস্কৃতি-রাজনীতি নিয়ে তার লেখা এখনো চলমান। কিন্তু আমি স্যারের আত্মজৈবনিক লেখার দারুণ ভক্ত। বিশেষ করে তার পিতা, মাতা ও প্রয়াত স্ত্রীকে নিয়ে আত্মজৈবনিক লেখাগুলো একেবারে অন্যরকম। সেখানেও তিনি নিজের কথা, নিজের মানুষদের কথা বলতে গিয়েও পথচ্যুত হন না, শ্রেণীভাবনা ও সমাজ দার্শনিক বিবেচনা থেকে। তার স্ত্রী নাজমা জেসমিন চৌধুরীর অকাল প্রয়াণের পরে লেখা, 'বন্ধুর মুখচ্ছবি' যতবার পড়ি, ততবারই অশ্রুসজল হই, বেদনাবিদ্ধ হই কিন্তু এক অপার ভালোবাসার নিদর্শন দেখে মুগ্ধ হই।

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী স্যার একবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হওয়ার দোরগোড়ায় পৌঁছেছিলেন। হতে হতেও হয়নি। সে নিয়ে নানা খবর নানাভাবে মিডিয়ায় চাউরও হয়। স্ত্রী নাজমা জেসমিন চৌধুরীর স্মৃতিস্মরণে 'বন্ধুর মুখচ্ছবি' নামের লেখায় সিরাজ স্যার নিজেই এই ঘটনার বয়ান করেছেন। সেই লেখা পড়লে আমরা আবিষ্কার করি এক ঋজু-মেরুদন্ডসম্পন্ন-আত্মমর্যাদাবোধের শক্তিমান নৈতিক শিক্ষককে।

'বন্ধুর মুখচ্ছবি'তে তিনি লিখছেন, ''একদা সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার উপাচার্য হবার। শিক্ষাগত জীবনে এর চেয়ে সম্মানের পদ তো আর হয় না। আমি খুব কাছাকাছি চলে গিয়েছিলাম ওই পদের। সিনেটে তিনজনের প্যানেলে নির্বাচিত হয়ে গেছি, ভোটও পেয়েছি সর্বোচ্চ, এখন দুয়েক জায়গায় দৃশ্য-অদৃশ্য সুতো টানা বাকী। আত্মীয়, বন্ধু, শুভানুধ্যায়ী সবাই পরামর্শ দিয়েছেন ব্যস্ত হবার জন্য। কাজটা কঠিন ছিল না। একটি কাগজে খবরও বের হয়েছিল আমি রুশ-ভারত-বিরোধী ধারার লোক। তখনকার রাজনৈতিক বিন্যাসে রাষ্ট্রক্ষমতার পক্ষপাত তাই আমার প্রতিই হবার কথা। কেবল যে বক্তব্য ওই একটি কাগজে বের হয়েছে তাকে আরো জোরদার করলেই হলো। ফল লাভ অবধারিত।'

'আমি মেয়েদের জিজ্ঞেস করেছি তারা কী বলে। তারা তখন ছোট। বলল, আমিই ভালো বুঝবো। বড় বাড়ীতে যাবার আগ্রহ ছিল নিশ্চয়ই, কিন্তু ভেবেছে নাক গলানো ঠিক নয়। তোমাকে জিজ্ঞেস করায় সেই প্রিয় এবং অতিপরিচিত হাসিটি দিয়ে বলেছিলে, "আমি তো একজন লেকচারারকে বিয়ে করেছিলাম, ভাইস চ্যান্সেলারকে নয়।" কোনো নাটকীয় উক্তি নয়, অনুষ্ঠান নয়, খুব স্বাভাবিক, অত্যন্ত সহজভাবে এসেছিল কথাটা। এবং আমার জন্য সহজ হয়ে গিয়েছিল সিদ্ধান্ত নেওয়া।'

'সেদিনই সাক্ষাৎকার ছিল চ্যান্সেলর হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদের সঙ্গে। নিয়োগের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবার আগে তিনি ঠিক করেছিলেন তিনজন প্রার্থীর সঙ্গে কথা বলবেন, কথা বলে ঠিক করবেন। আমার সিদ্ধান্ত নেয়াই ছিল। সাক্ষাৎকার তাই খুব সংক্ষিপ্ত হয়েছে। শুরুই হয়েছে আমার অনাগ্রহের কথা দিয়ে, শেষ হতে তাই দেরী হয়নি। ফেরার পথে নিজেকে হাল্কা মনে হলো। আমি তখনো ভেবেছি, এখনো ভাবি, ওই কথাটা তুমি কেনো বলেছিলে। আমি পারব না ভেবে? এই প্রশাসনিক কাজ আমার নয়, আমার কাজ লেখাপড়া-এই কথা মনে করে? আমি জানি না। আমি তোমাকে জিজ্ঞাসা করি নি। কিন্তু আমি নিশ্চিত ছিলাম, তখনো ছিলাম, এখনো আছি যে, তোমার আসল শঙ্কাটা ছিল অন্যকিছুর। বিচ্ছিন্নতার। তুমি ভেবেছিলে আমার ওই পদ তোমাকে বিচ্ছিন্ন করবে তোমার চারপাশের আপনজনদের কাছ থেকে। যে কারণে একদিন তুমি গাড়ী আনতে রাজী হওনি ঠিক সে-কারণেই আমার উঁচু পদ লাভ তুমি চাওনি। বিচ্ছিন্নতার পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছিল বৈকি। … তুমি ভয় পেয়েছিলে আমাদের দুজনের মধ্যে একটা বিচ্ছিন্নতা দেখা দেবে। আমার সময় আমার থাকবে না, পদ তার অনেকটাই গ্রাস করে নেবে। তোমার সেই ভীতি, নাজমা, আমার জন্য সেদিন গৌরব হয়ে দেখা দিয়েছিল। দামী করতে না চেয়ে তুমি আমাকে মূল্যবান করে তুলেছিলে।'

৩.

জাতির রাজনৈতিক মনন তৈরিতে, সামাজিক প্রতিবাদে সামিল হতে, সমাজতান্ত্রিক বোধে উদ্বুদ্ধ হতে, নৈতিক মানুষ হওয়ার চেষ্টায় সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী স্যারের ক্লান্তিহীন ধারাবাহিক লেখা-কথা-কাজ-আচরণ এক আলোকময় দৃষ্টান্ত। স্যারের বহুমাত্রিক-বহুরকম কাজের দ্যুতি শুধু তার সাক্ষাৎ ক্লাসরুম শিক্ষার্থীদেরই নয়, ক্লাসরুমের বাইরের বহু মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছে।

আমাদের গৌরব, আমরা আমাদের কালে লেখায়-বলায়-কর্মে একজন সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী স্যারকে পেয়েছিলাম। যিনি, দেশের প্রতিটি ক্রান্তিকালেও মানুষ হিসেবে, শিক্ষক হিসেবে তার মূল্যবোধ অক্ষুণ্ণ রেখেছেন, কিন্তু তা নিয়ে আওয়াজ তোলেননি। নিভৃতে তার কাজটিই করে গেছেন। জাতির এই মহান শিক্ষককে তার ৯০তম জন্মদিনে তাই অভিনন্দন। শ্রদ্ধার্ঘ্য।

শতায়ু হোন স্যার, কর্মময় থাকুন আমৃত্যু।


শুভ কিবরিয়া: সিনিয়র সাংবাদিক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক।

Comments

The Daily Star  | English

Iran says it fires missiles at US airbase in Qatar, explosions heard over Doha

Iran vowed to defend itself a day after the US dropped bombs onto the mountain above Iran's Fordow nuclear site

1d ago