নারীদের বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বরই জুলাই আন্দোলনকে বেগবান করেছিল: আলী রীয়াজ

জুলাইয়ের আন্দোলনকে গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেওয়ার পেছনে নারী শিক্ষার্থীদের বলিষ্ঠ ভূমিকা ছিল বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি রাষ্ট্র গঠনে নারীদের এই অংশগ্রহণকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ সোমবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের ১৩তম দিনের আলোচনা সভায় সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আজকের সভায় নারী প্রতিনিধিত্ব এবং দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা—এ দুটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
জুলাই আন্দোলনের স্মৃতিচারণা করে আলী রীয়াজ বলেন, 'চব্বিশের জুলাইয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী সংগ্রামের সূচনা করেছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা, কিন্তু ১৪ জুলাইয়ের ঘটনাপ্রবাহ সেই আন্দোলনকে নতুন মোড় দেয়। আন্দোলনকারীদের প্রতি অবমাননাকর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীরা মধ্যরাতেই পথে নেমে এসেছিল। নারীদের সেই বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বরই অপমানের বিরুদ্ধে আন্দোলনকে বেগবান করেছিল এবং সকলের প্রতিরোধের মুখে ফ্যাসিবাদী শাসন ক্রমাগত পিছু হটতে বাধ্য হয়েছিল।
আন্দোলনে নারীদের এই সক্রিয় অংশগ্রহণকে মর্যাদা দিয়ে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ১৪ জুলাইকে 'জুলাই নারী দিবস' হিসেবে চিহ্নিত করেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, রাষ্ট্র বিনির্মাণে নারীদের অংশগ্রহণকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে। এই প্রাতিষ্ঠানিক রূপের মাধ্যমেই রাজনীতিতে, রাষ্ট্র গঠনে এবং আইন প্রণয়ণে নারীদের মর্যাদার সঙ্গে অংশগ্রহণের পথ তৈরি হবে। তিনি এ বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করার ব্যাপারে আশা জানান।
সভায় কমিশনের সদস্য হিসেবে বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।
আজকের আলোচনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), গণসংহতি আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদসহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন।
Comments