মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে চলছে ‘৩৬ জুলাই উদযাপন’ অনুষ্ঠান

রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে চলছে '৩৬ জুলাই উদযাপন' অনুষ্ঠান।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ১১ মিনিটে সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠীর ১১ জন শিল্পী 'এই দেশ আমার বাংলাদেশ, আমার ভালোবাসা' গান দিয়ে অনুষ্ঠানে সংগীত পর্বের সূচনা করেন।
নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা পর এই অনুষ্ঠান শুরু হয়।
আগে থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও, সকাল ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত মঞ্চের কাছে আমন্ত্রিত অতিথিদের দেখা যায়নি।

আয়োজকরা জানান, সকালের বৃষ্টির কারণেই এই দেরি হয়েছে।
অনুষ্ঠানের সরকারি সময়সূচি অনুযায়ী, 'ফ্যাসিস্টের পলায়নের মুহূর্ত' প্রতীকীভাবে স্মরণ করা হবে দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে। এরপর একে একে মঞ্চে উঠবে বেশ কিছু ব্যান্ড দল।

বিকাল ৫টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস পাঠ করবেন ঐতিহাসিক 'জুলাই ঘোষণাপত্র'।
সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিট থেকে ৮টা পর্যন্ত চলবে বিশেষ ড্রোন শো। এরপর জনপ্রিয় ব্যান্ড আর্টসেলের পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হবে।
অনুষ্ঠান শুরু হতে দেরি হলেও, জুলাই আন্দোলনে আহত বা নিহতদের পরিবারের অনেকেই সকাল থেকেই অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হন।
১৯ জুলাইয়ের বিক্ষোভে আহত জুরাইনের ১২ বছর বয়সী ছাত্র মোহাম্মদ সোলায়মান জানায়, 'আমি সকাল ৭টায় এসেছি। এখন সকাল ১১টা এবং অনুষ্ঠান শুরু হয়নি। আমি এখানে আসতে পেরে খুশি, তবে গরম অনেক বেশি।'
তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র সোলায়মান, বিক্ষোভের সময় পায়ে গুলি লাগে। এখন হাঁটতে কষ্ট হয়।
'আমি ভালো চিকিৎসা চাই। আমি চাই সরকার আমাকে সাহায্য করুক।' সোলায়মান বর্তমানে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসা নিচ্চে।
সোলায়মান বলে, 'শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার এক বছর হয়ে গেছে। আমি এমন একটি সুন্দর বাংলাদেশ চাই যেখানে মানুষ সুখে থাকতে পারে।''

সোলায়মানের মা রেখা বেগম বলেন, 'দেশের জন্য প্রতিবাদ করতে গিয়ে আমার ছেলে আহত হয়েছিল। আমি চাই সে যথাযথ চিকিৎসা পাক এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুক।'
টঙ্গীর এ শিক্ষার্থী মাসুম বিল্লাহ বলেন, তিনি সকাল ১১টার মধ্যে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছেছেন।
'আজ একটা আনন্দের দিন। আমি তাড়াতাড়ি এসেছিলাম যাতে সামনে দাঁড়াতে পারি। এক বছর আগে, হাসিনা সরকারের পতন হয়েছিল। এই কারণেই এই দিনটি গুরুত্বপূর্ণ,' তিনি বলেন।
১৯ জুলাই মোহাম্মদপুরে বিক্ষোভ চলাকালীন আহত লাল মিয়া বসিলা থেকে এসেছেন।
গত এক বছরে আমি অনেক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছি। এখানে থাকতে পেরে অনেক ভালো লাগছে, বলেন তিনি।
গত বছরের আন্দোলনে নিহত ২৮ বছর বয়সী পোশাক শ্রমিক পারভেজ মিয়ার মা যাত্রাবাড়ী থেকে আসেন সকাল ১১টার দিকে।
তিনি বলেন, "আমি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করতে এসেছি। আমার কষ্টের কথা তাকে বলতে চাই। আমার ছেলে যাত্রাবাড়ীর বিক্ষোভে নিহত হয়েছে।'
Comments