আন্দোলন দমনের অজুহাত বের করতেই পরিকল্পিতভাবে বাসে আগুন: গণতন্ত্র মঞ্চ

‘হামলা, আক্রমণ, গ্রেপ্তার, নিপীড়ন এবং রাষ্ট্রীয় ও সরকার দলীয়দের পরিকল্পিত নাশকতা দিয়ে সরকার গদি রক্ষা করতে পারবে না। এই সরকারকে বিদায় দিতে মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে।’
সমাবেশ শেষে গণতন্ত্র মঞ্চের বিক্ষোভ মিছিল রাজপথ প্রদক্ষিণ করে বিজয়নগরে শ্রমভবনের সামনে শেষ হয়। ছবি: সংগৃহীত

গণতন্ত্র মঞ্চের বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা দাবি করেছেন, '২৯ জুলাই বিরোধী দলগুলোর শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশ ও সরকারি দল একযোগে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালিয়েছে। আন্দোলন দমনের অজুহাত বের করতেই পরিকল্পিতভাবে বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। সরকার ও সরকারি দলের আগুন নিয়ে খেলার অপকৌশল মানুষ ধরে ফেলেছে।'

আজ সোমবার সকালে গণতন্ত্র মঞ্চের এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় বক্তারা বলেন, শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশী ছত্রছায়ায় বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর প্রকাশ্যেই সন্ত্রাসী কায়দায় উপর্যুপরি হামলা-আক্রমণ যারা চালায়, পুলিশ তাদের কাউকেই গ্রেপ্তার করেনি। বরং, বিএনপি ও গণতন্ত্র মঞ্চসহ বিরোধী দলগুলোর শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ ও সরকার দলীয় সন্ত্রাসীর তাণ্ডবে আহত হয়েছেন কয়েকশ নেতাকর্মী। পুলিশ এখন উল্টো বিরোধী দলগুলোর শত শত নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে একের পর এক হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের জেলে পাঠাচ্ছে।

তারা বলেন, পুলিশের উপস্থিতিতে পরিকল্পিতভাবে বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। গণমাধ্যমে এসব খবর এসেছে।

তারা আরও বলেন, হামলা, আক্রমণ, গ্রেপ্তার, নিপীড়ন এবং রাষ্ট্রীয় ও সরকার দলীয়দের পরিকল্পিত নাশকতা দিয়ে সরকার গদি রক্ষা করতে পারবে না। এই সরকারকে বিদায় দিতে মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে।

গণতন্ত্র মঞ্চের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আহ্বান জানানো হয়, তাদের চলমান এই গণসংগ্রামকে যেন গণঅভ্যুত্থানের পথে নিয়ে যান দেশবাসী।

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুমের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়ক আবুল হাসান রুবেল। সমাবেশ পরিচালনা করেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমন।

সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যর সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা ফরিদুল হক প্রমুখ।

আগামীকাল বিভাগীয় শহরসহ জেলা স্তরে গণতন্ত্র মঞ্চের বিক্ষোভ সমাবেশ সফল করার আহ্বান জানান অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম।

Comments