কুমিল্লায় বিএনপির সঙ্গে পুলিশ ও আ. লীগের সংঘর্ষ, ওসিসহ আহত ২০

কুমিল্লার লাঙ্গলকোট উপজেলায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার লাঙ্গলকোট উপজেলায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় লাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক হোসেনসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

স্থানীয়রা জানান, জ্বালানি তেলসহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ভোলায় পুলিশের গুলিতে ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের ২ নেতা নিহতের প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নিতে সকাল থেকে পৌর এলাকায় জড়ো হতে থাকেন বিএনপির ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। পরে বিক্ষোভ মিছিল বের করার সময় পুলিশের বাধার মুখে পড়েন তারা। কর্মসূচির অনুমতির বিষয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাঁধে। সেসময় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এসে পুলিশের সঙ্গে যোগ দেয়। পরে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

নাঙ্গলকোট উপজেলা বিএনপি সভাপতি নজির আহমেদ ভুঁইয়া দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পুলিশ আমাদের অন্যায়ভাবে লাঠিপেটা করেছে। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। এতে আমাদের ১৫-২০ জন কর্মী আহত হয়েছেন।'

কুমিল্লা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী আবদুর রহিম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আজ সকালে বিএনপির পূর্বঘোষিত জনসভা ছিল নাঙ্গলকোটে। বিএনপি নেতা-কর্মীরা নাঙ্গলকোট সদর বাজারে (লোটাস চত্বরে) অবস্থান নেন। অপরদিকে, আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা অবস্থান নেন নাঙ্গলকোট রেলস্টেশন এলাকায়। পরে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এসময় বিক্ষুব্ধরা পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুর ও একটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেন।'

এ ঘটনায় ওসি ফারুক হোসেনসহ ৪ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন নাঙ্গলকোট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কানন চৌধুরী।

পুলিশ সুপার কাজী আবদুর রহিম জানান, আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সেসময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে কয়েক রাউন্ড টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। এতে লাঙ্গলকোট এ আর উচ্চ বিদ্যালয়ের বেশ কিছু শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে।

Comments

The Daily Star  | English
future of bangladesh after banning awami league

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

16h ago