ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপি অফিস ভাঙচুর-মঞ্চে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ আ. লীগের বিরুদ্ধে

ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ৮-১০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
আগুনে পুড়ছে বিএনপির অস্থায়ী সমাবেশ মঞ্চ। ছবি: স্টার

ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ৮-১০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

আজ শনিবার বিকেলে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জ্বালানি ও সারসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ৩ দিন আগে রুহিয়া বাজারে সমাবেশের ডাক দেয় বিএনপির রুহিয়া থানা শাখা। ওই কর্মসূচির পরিপ্রেক্ষিতে রুহিয়া থানা মহিলা আওয়ামী লীগও একই সময়ে একই স্থানে পাল্টা সমাবেশ আহ্বান করে।

ছবি: স্টার

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ বিকাল ৪টার দিকে বিএনপি নেতা-কর্মীরা পার্টি অফিস থেকে মিছিল বের করেন। মিছিলটি স্থানীয় সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেনের গ্রামের বাড়ির কাছে পৌঁছালে একদল কর্মী সেদিকে ইট-পাটকেল ছুঁড়তে শুরু করেন। এসময় সেখানে থাকা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বাঁধা দিলে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে এবং উভয় পক্ষ একে অপরের দিক ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করায় ৮-১০ জন আহত হন।

একপর্যায়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা রুহিয়া বাজারে ফেরত আসেন এবং পূর্ব নির্ধারিত সমাবেশ করেন। সেখানে বক্তব্য রাখেন জেলা শাখার সভাপতি তৈমুর রহমান।  

ছবি: স্টার

সমাবেশ শেষে বিএনপি নেতা-কর্মীরা রুহিয়া বাজারের কাছে কর্ণফুলী এলাকায় গেলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সংঘটিত হয়ে বিএনপি অফিসের দিকে আসেন এবং সভার অস্থায়ী মঞ্চ ও দুটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করেন। 

একপর্যায়ে তারা বিএনপির অফিসও ভাঙচুর করেছেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।    

রুহিয়া থানার ওসি সোহেল রানা ডেইলি স্টারকে বলেন, 'উভয়পক্ষ পরস্পরকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে বেশ কয়েকজন আহত হন। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।'

Comments