ঠাকুরগাঁওয়ে আ. লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ: ২ দলের পাল্টাপাল্টি মামলা

ঠাকুরগাঁওয়ে গত শনিবার বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দুই দল পৃথক পৃথক মামলা করেছে।  
রুহিয়া বাজারে শনিবার বিএনপি ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ছবি: স্টার

ঠাকুরগাঁওয়ে গত শনিবার বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দুই দল পৃথক পৃথক মামলা করেছে।  

আওয়ামী লীগের করা মামলার পর আটক বিএনপি কর্মী নওশাদ আলী (৪৫) ও ইসমাইল হোসেনকে (৫২) আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতে হাজির করা হলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলাম তাদের কারাগারে পাঠান। 

রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।   

তিনি জানান, বুধবার রাতে রুহিয়া থানা শাখা আওয়ামী লীগের সভাপতি পার্থ সারথী সেন জেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আনসারুল হকসহ ২০ জনের নামে এবং অজ্ঞাতপরিচয় ৫০ জনকে আসামি করে রুহিয়া থানায় একটি মামলা করেন।

স্থানীয় সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেনের গ্রামের বাড়িতে ও অটোরাইস মিলে হামলার অভিযোগে এ মামলা করা হয়।

এদিকে রুহিয়ায় বিএনপির সমাবেশে ও নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগে জেলা বিএনপি নেতা আনসারুল হক আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৬৮ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরও ৩০-৪০জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।

ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে এ কথা জানিয়েছেন।

" layout="left"]

জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত শনিবার বিএনপি রুহিয়া বাজারে বিক্ষোভ সমাবেশের আহ্বান করে।

একই দিনে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামালা মামলার বিচারের রায় দ্রুত কার্যকরের দাবিতে রুহিয়া থানা মহিলা আওয়ামী লীগ সমাবেশের আয়োজন করে।

দুই দলের কর্মসূচির আহ্বানে উত্তেজনা তৈরি হলে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে সাংবাদিকসহ উভয় পক্ষের প্রায় ২৫ জন আহত হন।

সমাবেশ শেষে বিএনপি নেতা-কর্মীরা রুহিয়া বাজারের কাছে কর্ণফুলী এলাকায় গেলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সংঘটিত হয়ে বিএনপি অফিসের দিকে আসেন এবং সভার অস্থায়ী মঞ্চ ও দুটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করেন। 

Comments